বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
রাজীবের ছোট ভাইদের দায়িত্ব নিতে চান অনন্ত জলিল
প্রকাশ: ১১:১৪ am ১৮-০৪-২০১৮ হালনাগাদ: ১২:২৩ pm ১৮-০৪-২০১৮
 
 
 


"আই এম পম গানা" কিংবা "অসম্ভব কে সম্ভব করাই আমার কাজ" বললেই তাকে নিয়ে টাইমলাইন ভর্তি ট্রলের অভাব থাকে না...এমনকি আমি নিজেও বন্ধুদের সাথে কথা বলতে গিয়ে করেছি হয়ত।
কিন্তু তার মহৎ কাজ গুলো খুব সচরাচর প্রচার হতে দেখা যায় না।
তাই,তাকে নিয়ে ট্রল যদি করা যেতে পারে, অবশ্যই তার ভাল কাজ গুলোও প্রশংশা পাওয়ার দাবি রাখে।

"অনন্ত জলিল"... বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের এক সময়ের আলোচিত মুখ... ব্যক্তিগত জীবনে যিনি নামকরা পোষাক রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান অনন্ত গ্রুপের মালিক। বর্তমানে চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে দূরে ইসলামের আলোকে কিছুটা নিভৃত জীবনযাপন করছেন। কিন্তু থেমে নেই মহৎ হ্রদয়ের মানবসেবা।

গত পরশু রাতে দুই বাসের চাপে ডান হাত হারানো বাপ-মা হারানো এতিম দুই ভাইয়ের একমাত্র অবলম্বন রাজীবের মৃত্যুর সংবাদ শোনার সাথে সাথেই তিনি তাদের লেখাপড়া ও ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন।
যেখানে সরকার কিংবা অভিযুক্ত বাস মালিকদের দায়সারা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাসটাও দেয়া হয়নি।

যেখানে বাংলাদেশে তার মত বা তারচেয়েও বড় মাপের অনেক সেলিব্রেটি আছেন, আছেন তার চেয়েও অধিক সম্পদশালী কোটিপতি ব্যবসায়ী, কিন্তু তাদের কাউকে রাজীবের মৃত্যু কিংবা তার পরিবার নিয়ে কিছু বলতে শোনা যায়নি।
বাংলাদেশের তারকাদের খুব কদাচিৎই মানুষের দুর্ভোগ বা বিপদে আপদে পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় সেখানে অনন্ত জলিল সাহেব বরাবরই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এর আগেও তিনি রানা প্লাজা থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি প্রাকৃতিক দূর্যোগ কিংবা বিপর্যয়ে নিজের সামর্থ্য নিয়ে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষের পাশে।

ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি অসাধারণ একজন মানুষ। গাজীপুরে তার তৈরী পোষাকের কয়েকটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি আছে। তার প্রতিষ্ঠানে কখনই বেতন-বোনাস, দাবি-দাওয়া নিয়ে অসন্তোষ বা শ্রমিক আন্দোলন করার প্রয়োজন হয়নি।
বরঞ্চ সাধারণ ওয়ার্কার থেকে শুরু করে ম্যানেজার পর্যন্ত তার সমান জনপ্রিয়তা, বিপদে আপদে তিনি প্রত্যেকের পাশে সবার আগে।

রবীনহুড নামে এক ভদ্রলোক ছিল। যে জোয়ার্দার ল্যান্ডলর্ড আর শাষকের সাহায্যপুষ্ট ধনীদের সম্পদ লুট করে গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন।
বাংলাদেশেও এমন অনেক রবীনহুড আছে, শুধু পার্থক্য এদেশের রবীনহুডরা গরীবের সম্পদ ছিনিয়ে দিন দিন শুধু টাকার পাহাড় বানাচ্ছে।
অনেকের মাঝে ব্যতিক্রম অনন্ত জলিল...!
বিশ্বাস করি, তার মতো প্রত্যেকটা ধনী ব্যক্তি যথাসম্ভব তাদের সম্পদ নিয়ে অসহায়ের পাশে দাঁড়ালে আরো সুন্দর আর সুখি একটা সমাজ-দেশ পাওয়া খুব একটা কঠিন না।

সিনেমার রুপালী পর্দায় বড় বড় ডায়ালগ আর একশান দৃশ্য করলেই হিরো হওয়া যায় না, বাস্তব জীবনে ছোট হোক বড় হোক, মানুষের কল্যাণে... মানবতার কল্যাণে করা কাজই হিরো বানিয়ে দেয়।

আর,তার সমালোচকদের জন্য বলা ভাল বাংলাদেশের এফ.ডি.সি. কেন্দ্রিক গদবাঁধা লোকেশনের বাইরে বৈচিত্র্যময় শ্যুটিং স্পট, হাই ডেফিনেশন আর ডলবি ডিজিটাল (Dolby Digital) সাউন্ড সিস্টেমের যে বিপ্লব তা তার আগ্রহ ও উদ্যোগেই হয়েছে।
এমনকি বাংলার নাম্বার ওয়ান সাকিব খান এখনো গ্রামীনফোনের কোন বিজ্ঞাপনে অভিনয় না করলেও থ্রি-জি প্রথম বিজ্ঞাপনটা তারই করা ছিল...!

অনন্ত জলিল... আপনি সত্যিই দেখালেন "অসম্ভবকে সম্ভব করাই আপনার কাজ"

আপনাকে সালাম।
Hats off and Salute to You Sir..

 

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT