চিকিত্সা এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাতে লন্ডনের পথে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন তিনি। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, মীর মো. নাসিরউদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমানউল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। বিএনপি চেয়ারপারসনের লন্ডন যাত্রাকে ঘিরে বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। খালেদা জিয়ার প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান সকালের খবরকে জানান, চেয়ারপারসনের সঙ্গে রয়েছেন তার একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার ও গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম। রোববার সকালে তার লন্ডন পৌঁছার কথা রয়েছে। এদিকে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বৃহস্পতিবার রাতে প্রস্তুতি সভা করেছে যুক্তরাজ্য বিএনপি। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন লন্ডনে অবস্থানকালে সবকিছু তদারকি করবেন তার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। খালেদা জিয়া লন্ডনে তারেক রহমানের পূর্ব লন্ডনের বাসায় অবস্থান করবেন। তারেকের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান তার শাশুড়ি খালেদা জিয়ার চিকিত্সার যাবতীয় বিষয় দেখভাল করবেন। রোজার ঈদের পর নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা দেওয়ার কথা বলেছিলেন বিএনপি নেতারা। তবে এখন নেতারা বলছেন, চেয়ারপারসন লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই রূপরেখা ঘোষণা করবেন। এর আগে ২০১৫ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া লন্ডন গিয়েছিলেন।