বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় সরকারকে একদিন চরম মূল্য দিতে হবে। রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান প্রমাণ করে তারা সত্যিকার অর্থেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করত না। গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মওদুদ বলেন, এতদিন সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অভিযোগ করে আসছে যে, নিম্ন আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ নিম্ন আদালত সরকার নিয়ন্ত্রণে। ঠিক তখনই সুপ্রিমকোর্ট ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় দিয়ে কিছুটা হলেও জনমনে আশার আলো দেখাতে সক্ষম হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা সম্পর্কে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে মওদুদ আহমদ বলেন, তারা বলেছেন, এই রায় নাকি একজন ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদক লিখে দিয়েছেন। তাহলে কি জনগণ ধরে নেবে সরকার এমন সব বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন যারা রায় লিখতে পারেন না। এর দায়টা কার ওপর বর্তাবে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক সম্পর্কে মওদুদ আহমদ বলেন, উনি একজন নির্লজ্জ ও অসত্ ব্যক্তি। তিনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন ভাবতে লজ্জা লাগে। কারণ এই ব্যক্তিটি দেশের অনেক উজ্জ্বল ভবিষ্যত্ ধূলিসাত্ করে দিয়েছেন। বন্যায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণ লোক দেখানো দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, উত্তরাঞ্চলের ২৭টি জেলায় বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ সহযোগিতায় সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তিনি বলেন, এতদিন পর প্রধানমন্ত্রী একদিনের জন্য গেছেন, আর তার দলের সাধারণ সম্পাদক একদিন গেছেন। এগুলো লোক দেখানো। তিনি বলেন, সরকারি দলের যারা সেখানে ত্রাণ নিয়ে গেছেন, ত্রাণ মানেই তো চুরি। তাদের লোকজনের মাধ্যমেই তো এসব বিতরণ করছে। সবকিছু সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। সরকার ত্রাণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। দলের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু, মহানগর উত্তরের সিনিয়র সহসভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ। এ ছাড়া দোয়া মাহফিলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি ইউনুস মৃধা, নবী উল্লহ নবী, মো. মোহনসহ শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।