বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
“কুয়াকাটা” প্রকৃতির আরেক বিস্ময়কর সুন্দরতম স্থান
প্রকাশ: ১২:০০ am ২০-১১-২০১৬ হালনাগাদ: ০৩:৩২ pm ২০-১১-২০১৬
 
 
 


ঢাকা কিংবা যশোর থেকে সরাসরি বিআরটিসি, দ্রুতি পরিবহন, সাকুরা পরিবহনসহ একাধিক পরিবহনের গাড়ীতে গাবতলী কিংবা সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে কুয়াকাটায় আসতে পারবেন। এছাড়া যে কোন স্থান থেকে রেন্ট-এ-কার যোগেও আসতে পারেন। তবে বরিশালের পর সড়ক যোগে কুয়াকাটায় পৌঁছাতে আপনাকে লেবুখালী ফেরী পারাপার হতে হবে। ঢাকা সদরঘাট থেকে বিলাস বহুল ডাবল ডেকার এম.ভি পারাবত, এম.ভি সৈকত, এম.ভি সুন্দরবন, এম.ভি সম্পদ, এম.ভি প্রিন্স অব বরিশাল, এম.ভি পাতারহাট, এম.ভি উপকূল লঞ্চের কেবীনে উঠে সকালের মধ্যে পটুয়াখালী কিংবা কলাপাড়া নেমে রেন্ট-এ-কার যোগে এবং পটুয়াখালী-কুয়াকাটা রুটের বাসে চড়ে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা পৌঁছাতে পারেন। ঢাকা থেকে উল্লেখিত রুট সমূহের লঞ্চ গুলো বিকাল ৫ থেকে সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে লঞ্চ ঘাট ত্যাগ করে থাকেন।

 

অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগর কন্যা কুয়াকটা। একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ওসূর্যাস্ত অবলোকন করার মনোমুগ্ধকর পর্যটন স্পট। বঙ্গোপসাগরের ১৫ কিলোমিটারদৈর্ঘ্যের বিশাল সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর বিরল। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষাসহ সকলঋতুতেই মৌসুমী পাখিদের কলরবে মুখোরিত থাকে সমুদ্রতট। একমাত্র কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রে এসেই প্রকৃতির সৃষ্ট সাগরের নানা রূপ বিভিন্ন ঋতুতে উপভোগ করা সম্ভব। তাইতে দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটন পিপাসুরা বছরের বিভিন্ন  ঋতুতে বার বার ছুটে আসে কুয়াকাটায়। কৃত্রিমতার কোন ছাপ নেই এখানে। সে কারণেই পর্যটকরা কুয়াকাটায় এসে প্রকৃতির নিয়মের সাথে নিজের মনকে একাকার করে। প্রকৃতির স্বাদ নিজ উপলব্ধিতে আত্মস্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠে। বিজড়িত দৃশ্য, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে। একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তেরদৃশ্য অবলোকন করা ছাড়াও রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রায় দুইশত বছরের পুরানোঐতিহ্য শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারে প্রতিষ্ঠিত অপতার "গৌতম বুদ্ধের" বিশাল আকৃতির মূর্তিসহ শ্বেত পাথরের নির্মিত ছোট-বড় অসংখ্য মূর্তি রয়েছে। আরাকান রাজ্য থেকে বিতারিত হয়ে আসা রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের রাজা মং এর নেতৃত্বে সাগর পাড়ি দিয়ে প্রথমে চট্রগ্রাম এবং পরে পটুয়াখালীর এ জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় তাদের বসতি স্থাপন করে। নিজস্ব ঐতিহ্য ও কৃষ্টে গড়ে তোলে নিজেদের আবাসস্থল। তৎকালীন সরকার রাখাইন সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওই সময় ৩একর এবং তাদের নিজস্ব পল্লীব জন্যে ১২ একর করে সম্পত্তি প্রদান করেন। এখনও তাদের ঐতিহ্যবাহী কলাপাড়ায় বিদ্যমান আছে।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT