সিলেটের পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকার একটি বাসা থেকে জব্দকৃত বিলাসবহুল মার্সিডিজ গাড়িটি বর্তমানে আলোচিত আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমদের। ওই গাড়িতে করেই সিলেটে এসেছিলেন বনানী ধর্ষণ মামলার আসামি সাফাত ও তার বন্ধুরা।
মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকেলে সিলেট থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার মারসিডিজ ব্র্যান্ডের (ঢাকা মোট্রো গ- ৩১৮৮৫৬) গাড়ি জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের কর্মকর্তারা। পরে গাড়িটির কাগজপত্রে এর মালিক দিলদার বলে জানা যায়। এই দিলদারই স্বর্ণ ব্যবসায়ী আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমদ বলে জানিয়েছেন শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যে জানা গেছে, ওই গাড়িতে করেই গত ৮মে সিলেটে পালিয়ে এসেছিল বনানী ধর্ষণ মামলার আসামি সাফাত ও তার বন্ধুরা। সাফাতের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জের দক্ষিণ সুরমায় এবং মামা বাড়ি সিলেট নগরীর শেখঘাট এলাকায়। এ সূত্র ধরেই গাড়ি নিয়ে সিলেটে এসে দক্ষিণ সুরমার একটি রিসোর্ট ভাড়া করতে গিয়েছিল সাফাত। তবে সেখানে পরিচয়পত্র চাওয়ায় ভাড়া না করেই চলে আসে তারা। পরে সাফাতের মামা শেখঘাটের মাসুমের সহযোগিতায় নগরীর মদিনা মার্কেট পাঠানটুলার প্রবাসী মামুনুর রশীদের বাসা ‘রশীদ ভিলায়’ অবস্থান নেন সাফাত ও তার বন্ধু সদমান সাকিফ। এর আগেই আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর চোখে ধুলো দিতেই গাড়িটি অন্য একটি বাসায় রাখে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন শুল্ক গোয়েন্দার সদস্যরা।
এদিকে ১১মে ঢাকার পুলিশের একটি টিম সিলেটে এসে প্রযুক্তির সহযোগিতায় সাফাত ও সাদমানকে পাঠানটুলার রশীদ ভিলা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। এরপর থেকেই গোয়েন্দারা তাদের ব্যবহৃত গাড়ির খোঁজে নামেন। পরে ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে সিলেটের শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর গাড়িটির সন্ধান পান।
তিনি জানান, গাড়িটি কারনেট সুবিধায় আনা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাড়িটিতে থাকা ‘বিএরটিএ’ এর কাগজপত্র থেকে জানা গেছে গাড়িটি ২০১১ সালে প্রস্তুত হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে গাড়িটি ২০০২ সালে তৈরি বিআরটিএ টেম্পারিং করে তাতে ২০১১ সাল দেখিয়েছে। পরে ২০১৫ সালে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে বলেও দেখানো হয়েছে কাগজপত্রে।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মূসা জানান, শুনেছি জিন্দাবাজার এলাকা থেকে শুল্ক গোয়েন্দারা একটি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করেছে। তবে তিনি বলেন, সেটি আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমদের কিনা তা সঠিকভাবে জানা যায়নি বলেও শুনেছি।