আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আমরা একজন যোগ্য ও সৎ ব্যক্তিকে হারালাম। তার শূন্যতা কোনভাবে পূরণ হওয়ার নয়। শনিবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে আনিসুল হকের মরদেহ লন্ডন থেকে দেশে আসার পর তার বনানীর ২৩ নম্বর রোডের বাসায় শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে তোফায়েল আহমেদ এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রবীন এই নেতা বলেন, আনিসুল হক সততার সঙ্গে মহানগর উত্তর সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পালন করেছেন। সততা থেকে কখনো পিছপা হতেন না তিনি। মানুষের বিপদে সব সময় এগিয়ে যেতেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে তিনি টেলিভিশনে ‘সবিনয় জানতে চাই’ নামের অনুষ্ঠানে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমিসহ তিনজন ছিলাম। সেখানে তিনি আমাদের একের পর এক প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি একজন দক্ষ সংগঠক, ব্যবসায়ী। বিপদে আপদে তার কাছে গেলে তিনি সবাইকে সাধ্যমত সহযোগিতা করতেন। ব্যবহার ছিল অমায়িক। সবাইকে আপন করে নিতেন। তিনি বলেন, তার মানবিক গুণ, সততা ও যোগ্যতা ছিল। তার শূন্যতা পূরণ হবার নয়। যতদিন ঢাকা মহানগর থাকবে ততদিন তিনি সবার মনে বেঁচে থাকবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে তার কাছে ঋণী। আমি যখন বিভিন্ন সময় জেলে ছিলাম, তিনি তখন আমার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। গত ২৯ জুলাই নাতির জন্মদিন উপলক্ষে স্ত্রী রুবানা হককে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান আনিসুল হক। সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন আনিসুল হক। ১৩ আগস্ট তাকে লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার মস্তিষ্কে প্রদাহজনিত রোগ সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা। এরপর তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ৩১ অক্টোবর আইসিইউ থেকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু গত মঙ্গলবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে পুনরায় আইসিইউতে নেয়া হয়। আইসিইউতে নেয়ার দু'দিন পর বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২৩ মিনিটে লন্ডনের দ্য ওয়েলিংটন হাসপাতালে মারা যান আনিসুল হক।