উত্তর কোরিয়া দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কয়েক সপ্তাহ পর দক্ষিণ কোরিয়া দেশটিকে সামরিক আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে। যদি এই আলোচনার আহ্বান বাস্তবায়িত হয় তাহলে ২০১৫ সালের পর এটাই হবে দুইদেশের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। সোমবার (১৭ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে তথ্য জানানো হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, মূলত কোরীয় সীমান্তে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এমন শত্রুতামূলক কার্যক্রম বন্ধ করতেই আলোচনা আহ্বান জানানো হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জই-ইন উত্তরের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে আগে থেকেই আগ্রহী। তবে দক্ষিণের আহ্বানে উত্তর কোরিয়া এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সম্প্রতি বার্লিনে এক বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট মুন বলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তি করার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হলো আলোচনায় বসা। মূলত যেসব দেশ চায় পিয়ংইয়ং তাদের পারমানবিক কার্যক্রম বন্ধ করুক তাদের জন্যও আলোচনায় বসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতিসংঘের কঠোর নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও উত্তর কোরিয়ার ঘন ঘন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে এর প্রতিবেশী দেশগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। দক্ষিণ কোরিয়া উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সু চু-সাক এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই আলোচনাটি দুইদেশের সীমান্তে অবস্থিত বেসামরিক এলাকা তোনগিলগাকে অনুষ্ঠিত হতে পারে। অতীতেও দুইদেশের মধ্যে আলোচনা সেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২১ জুলাই আলোচনায় বসার জন্য উত্তর কোরিয়াকে আহ্বান জানিয়েছেন উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সু চু-সাক। তিনি বলেন, "আমরা উত্তরের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আশা করছি।"