জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালে বুধবার (৫ জুলাই) নিরাপত্তা পরিষদের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বলেছেন, উত্তর কোরিয়াকে থামাতে প্রয়োজনে সামরিক আগ্রাসনের আশ্রয় নেয়া হবে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকালে জাপান সাগর অভিমুখে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের তত্ত্বাবধানে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র হোয়াসং-১৪ উৎক্ষেপণ করা হয়। নিকি হ্যালে বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। তিনি উত্তর কোরিয়ায় সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে মারাত্মক সামরিক স্খলন হিসেবে অভিহিত করেন এবং দেশটির ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করারও হুমকি দেন। উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা জবাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া জাপান সাগরে সামরিক মহড়া শুরুর কয়েক ঘন্টা পরেই এ কথা বলেন তিনি। বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয় সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে। এদিকে পিয়ংইয়ং বলেছে, যতক্ষণ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার প্রতি শত্রুতামূলক নীতি পরিহার না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো আলোচনায় তারা বসবে না। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কঠোর নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও মঙ্গলবার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। নিকি হ্যালে আরো বলেন, উত্তর কোরিয়ার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনাকে বন্ধ করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে এবং মিত্রদের রক্ষা করতে সব ক্ষমতা ব্যবহার করতে প্রস্তুত। অপরদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস এবং জাপানী প্রতিরক্ষামন্ত্রী তোমোমি উনাদা এক বিবৃতিতে এই পরীক্ষাকে 'অগ্রহণযোগ্য উস্কানি' বলে অভিহিত করেছেন। সূত্র: বিবিসি