ভর্তির জন্য কলেজ ঠিক করে দেবে শিক্ষা বোর্ড
এবারও এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। তবে একজন শিক্ষার্থী অনলাইন ও এসএমএসে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদনের সুযোগ পেলেও তার পছন্দক্রম ও যোগ্যতা অনুযায়ী ভর্তির জন্য একটি কলেজ ঠিক করে দেবে শিক্ষা বোর্ড।
গতবার একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিল, তার সব কটির মেধাক্রম করে দিয়েছিল শিক্ষা বোর্ড। সেখান থেকে আসন অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করেছিল কলেজগুলো। এতে একধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টির ফলে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছিল। বিশেষ করে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। তখন কলেজ পরিবর্তন করলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী ছেড়ে যাওয়া কলেজ থেকে ভর্তির টাকা ফেরত পায়নি।
গত বৃহস্পতিবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ১০ বোর্ডের অধীনে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন। এর মধ্যে আট বোর্ডের অধীন এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৭ হাজার ৯৬৪ জন। ফল প্রকাশের পর এসব শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা পছন্দের কলেজে ভর্তি নিয়েই চিন্তায় আছেন। কারণ আসনস্বল্পতার কারণে এবারও জিপিএ-৫ পেয়েও অসংখ্য শিক্ষার্থী পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারবে না।
তবে আসনের কারণে কেউ ভর্তির বাইরে থাকবে না বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন, এবার বোর্ড থেকে কলেজ ঠিক করে দেওয়ার পর ১৮৫ টাকা ফি দিয়ে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ওই কলেজে ভর্তির নিশ্চয়তার কথা জানাবে, যা আগে করত কলেজ। এটা অনেকটা ‘বুকিং’ করে রাখার মতো। কারণ একই সময়ে সে পছন্দক্রমের মধ্যে থাকা অন্য কলেজে যাওয়ার (মাইগ্রেশন) সুযোগ পাবে। তবে ওই সব কলেজে আসন খালি থাকতে হবে। তবে আসন খালি না থাকলে বোর্ড নির্ধারিত কলেজেই শিক্ষার্থীকে ভর্তি হতে হবে। নির্ধারিত সময়ে এই প্রক্রিয়াগুলো শেষ হলে শিক্ষার্থী শুধু কলেজে গিয়ে চূড়ান্তভাবে ভর্তি হবে।
প্রথম দফায় ১০টি কলেজেও যদি কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ না পায়, তাহলে আরও দুই দফায় সে আবেদনের সুযোগ পাবে। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযাযী, ৯ মে থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হওয়ার কথা আছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারও ভর্তি কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।