বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
এবার ফাঁস হলো প্যারাডাইজ পেপারস কেলেঙ্কারি
প্রকাশ: ১২:৩৭ pm ০৬-১১-২০১৭ হালনাগাদ: ১২:৪১ pm ০৬-১১-২০১৭
 
 
 


আরো একটি আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হলো। ফের ধাক্কা খেল বিশ্ববাসী। সোমবার (৬ নভেম্বর) প্রকাশিত এ কেলেঙ্কারিতে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ থেকে শুরু করে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নাম রয়েছে। এই কেলেঙ্কারির নাম দেওয়া হয়েছে প্যারাডাইজ পেপারস। প্রায় ১৪ কোটি গোপন নথি ফাঁস করা হয়েছে। গত বছর পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল জার্মান দৈনিক জিতডয়েচ সাইতং।

এবারও তারাই বিশ্বের শীর্ষ রাজনীতিবিদ, তারকা, করপোরেট অঙ্গনের ক্ষমতাধর ও ব্যবসায়ী নেতাদের আর্থিক লেনদেন ফাঁস করেছে প্যারাডাইজ পেপারস কেলেঙ্কারিতে। বারমুডার আইনি সহযোগী সংগঠন অ্যাপলবাই-এর কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি ৩৪ লাখ গোপন নথি পেয়েছে জিতডয়েচ সাইতং।

এরপর এগুলো ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) সঙ্গে ভাগাভাগি করেছে জার্মান সংবাদমাধ্যমটি। এখন বিশ্বের ৬৭টি দেশের ৩৮০ জন সাংবাদিক ১ কোটি ৩৪ লাখ ডকুমেন্টস তদন্ত করে দেখছে। এতে ১৮০টি দেশের নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে। গোপন নথিতে দেখা গেছে, ক্যামান আইল্যান্ডস ও বারমুডায় রানির নামে আলাদা তহবিল রয়েছে। প্রায় ১ কোটি পাউন্ড পরিমাণের গোপন অর্থের হিসেব পাওয়া গেছে। এ দুটো জায়গায় রানির ৫০ কোটি পাউন্ডের ব্যক্তিগত সম্পত্তি দেখভাল করে ডাচি অফ ল্যাঙ্কাস্টার। তারা বিনিয়োগ বিষয়ক কোনো সিদ্ধান্তে জড়িত ছিলেন না বলে ডাচি দাবি করেছে। এছাড়া রানি নিজেও এ ব্যাপারে জানেন এমন কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস রুশ সংস্থাকে তেল ও গ্যাস শিপিং করে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। ওই প্রতিষ্ঠানের অংশীদার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জামাতাসহ যুক্তরাষ্ট্রের চোখে অপরাধী দুই ব্যক্তি। রস নব্বইয়ের দশকে ট্রাম্পকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন। এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গ্যারি কন,পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ও অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানচিনও অন্য দেশে বিনিয়োগের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে গোপন নথিতে।

গোপন নথিতে আরো জানা গেছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নির্বাচনে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা স্টেফান ব্রনফম্যান এবং তার প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬ কোটি ডলার বিনিয়োগ রয়েছে ক্যামান আইল্যান্ডে। অথচ ট্রুডো বরাবরই 'অফশোর' (কর থেকে বাঁচার জন্য বিদেশে বিনিয়োগ) বিনিয়োগের বিপক্ষে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন। তার জন্য এই নথি প্রকাশ বিরাট বড় একটি ধাক্কা। 

সূত্র: বিবিসি

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT