কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি মঙ্গলবার (৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে সৌদি জোটের শর্তগুলো 'অবাস্তব' বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "এটা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, এটা আমাদের বাক-স্বাধীনতাকে রুখে দেয়ার অপচেষ্টা।" গত সোমবার (৩ জুলাই) সৌদি আরব শর্ত পূরণের সময় শেষ সময় আরো ৪৮ ঘন্টা বাড়িয়ে দেয়। দোহার পক্ষ থেকে শর্তগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানানো হলেও তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। তবে কাতার বলেছে, সৌদি জোটের দেয়া শর্তগুলো আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে। এদিকে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের একমাস পর সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আলোচনায় বসতে যাচ্ছে। মিশরের কায়রোতে বুধবার (৫ জুলাই) আলোচনায় বসবে তারা। মূলত সৌদি জোটের দাবিকৃত শর্ত পূরণের সময় শেষ হবার পর ভবিষ্যত কার্য নির্ধারনের জন্য সৌদি জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলোচনায় বসবেন। কাতারের কাছে দাবি করা শর্তের মধ্যে অন্যতম হলো আল-জাজিরা বন্ধ এবং ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করা। কাতার সৌদি জোটের এ সকল শর্তকে 'অবাস্তব এবং অকার্যকর' বলে আখ্যায়িত করেছেন। সৌদি আরব এবং এর মিত্র দেশগুলো কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনেছে। তবে আরব উপসাগরীয় এই দেশটি বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করা পর থেকে দেশটি চরম কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সংকটে পড়েছে। সূত্র: বিবিসি