রাশিয়ার একটি সামরিক বিমান কৃষ্ণসাগরে বিধ্বস্ত হয়ে ৯২ আরোহীর সবার মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, যেখানে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেই স্থানটি চিহ্নিত করা হয়েছে। কয়েকটি লাশ উদ্ধার হলেও সেখানে জীবিত কাউকে পাওয়া যায়নি।
স্পুটনিকের খবরে বলা হয়, সামরিক বাহিনীর আটজন সদস্যদের পাশাপাশি নয়জন সাংবাদিক এবং রুশ সেনাবাহিনীর একটি বিখ্যাত সংগীত দল আলেক্সান্দ্রভ এনসেম্বলের ৬৪ সদস্য ছিলেন ওই উড়োজাহাজে।
রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মানবাধিকারকর্মী ফেয়ার এইড চ্যারিটির নির্বাহী পরিচালক এলিজাভেতা গ্লিংকা এবং দুইজন সরকারি কর্মকর্তাও ছিলেন আরোহীদের মধ্যে। ক্রু ছিলেন আটজন।
নতুন বছরের সূচনায় সিরিয়ায় দায়িত্বরত রুশ সৈন্যদের জন্য আয়োজিত এক কনসার্টে অংশ নিতে লাটাকিয়ায় যাচ্ছিলেন তারা।
এক পরিবেশনায় আলেক্সান্দ্রভ এনসেম্বল
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এলিজাভেতা গ্লিংকা
টুপোলেভ-১৫৪ উড়োজাহাজটি মস্কো থেকে রওনা হয়ে জ্বালানি নিতে কৃষ্ণসাগরের অবকাশযাপন কেন্দ্র সোচিতে নেমেছিল। স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সোচি থেকে উড্ডয়নের দুই মিনিটের মাথায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগর কোনাসেঙ্কভ কৃষ্ণসাগরে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে জানান, সোচি উপূকল থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে সাগরে কয়েকটি মৃতদেহ পেয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
রিয়া নভোস্তি জানিয়েছে, ওই এলাকার সাগরে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
চারটি হেলিকপ্টার, ২৭টি নৌযান, ২৭ জন ডাইভারসহ ৩০০ উদ্ধারকর্মী এবং ড্রোন ও মনুষ্যহীন ডুবোযান নিয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
এই দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে একটি কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী দিমিত্র মেদভেদেভ।
নিহতদের স্মরণে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে রাশিয়ায়।