১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা ১৩ কোটি ৫৯ লাখ ৮২ হাজার। আর ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৭ কোটি ছাড়িয়েছে। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৯৬ লাখ। এই সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৬৭ লাখ ২৪ হাজার। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সময়ের তথ্য হিসাবে করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ৬ কোটি ১৫ লাখ ৭৯ হাজার গ্রাহক নিয়ে এখনও ব্যবহারকারীর তালিকায় শীর্ষে আছে গ্রামীণফোন। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রবি আজিয়াটার গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার। গত বছরের নভেম্বরে একীভূত কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে রবি ও এয়ারটেল। একীভূত হওয়ার পরও রবি আজিয়াটা লিমিটেড নামে কার্যক্রম শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলালিংক। বর্তমানে অপারেটরটির গ্রাহক ৩ কোটি ১৫ লাখ ৭২ হাজার। বিটিআরসির প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সবগুলো অপারেটরের গ্রাহক বেড়েছে। একমাত্র গ্রাহক কমেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের। ছয় মাসে টেলিটকের গ্রাহক কমেছে প্রায় ৪ লাখ। জুন পর্যন্ত অপারেটরটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩২ লাখ ৬০ হাজার। তবে সম্প্রতি তরঙ্গ ফিরে পাওয়া বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র সিডিএমএ মোবাইল অপারেটর সিটিসেল গ্রাহকের কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কারিগরি সমস্যার কারণে সিটিসেলের গ্রাহক সংখ্যা প্রকাশিত হয়নি বলে বিটিআরসি জানিয়েছে। বিটিআরসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অধিকাংশ গ্রাহকই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। অন্যদিকে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) ও পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্কের (পিএসটিএন) ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৬ লাখ ২২ হাজার। তবে ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেটে ক্রমাগত আগ্রহ হারাচ্ছেন গ্রাহকরা। ওয়াইম্যাক্স গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ৭৫ হাজারে, গত বছর জুন নাগাদ গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৫২ হাজার।