বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
জেনে নিন ১০ ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে পাইলস সমস্যা সমাধান করা যায়
প্রকাশ: ০৩:০৩ pm ২৯-০৪-২০১৭ হালনাগাদ: ০৩:০৬ pm ২৯-০৪-২০১৭
 
 
 


পাইলসের সমস্যা ঘরে ঘরে দেখা যায়। কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা, দীর্ঘ মেয়াদী কাশির সমস্যা, প্রস্রাবে বাধা, গর্ভধারণ, মলদ্বারে ক্যানসার, নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা এসব থেকে পাইলসের সমস্যা হতে পারে।

অর্শ বা পাইলসের সমস্যা ঘরে ঘরে দেখা যায়। কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা, দীর্ঘ মেয়াদী কাশির সমস্যা, প্রস্রাবে বাধা, গর্ভধারণ, মলদ্বারে ক্যানসার, নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা এসব থেকে পাইলসের সমস্যা হতে পারে।

পাইলসের সমস্যা বলতে মলদ্বারে যন্ত্রণা, রক্ত পড়া, মলদ্বার ফুলে যাওয়া মূলত এই ধরণের উপসর্গ দেখা যায়।পাইলসের চিকিৎসার জন্য নানা ধরণের চিকিৎসা রয়েছে। সমস্যা কতটা গভীর তার উপরও চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে। কখনও শুধু ওষুধেই কাজ দেয়, কখনও আবার সমস্যা এতটাই বেড়ে যায় যে অস্ত্রোপচার ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। তবে পাইলসের সমস্যায় কিছু নির্দিষ্ট খাবার ও টোটকা আছে, যা অত্যন্ত উপকারী-

র‌্যাডিশ জুস:
র্যাডিশ হল মূলা ঘরানার একটি সবজি। এই সবজি পাইলসের সমস্যায় অত্যন্ত উপকারি। এই সবজির রস খেলে উপকার পাবেন। প্রথমে ১/৪ কাপ দিয়ে শুরু করুন। তারপর পরিমাণ আস্তে আস্তে বাড়িয়ে ১/২ কাপে নিয়ে আসুন।

বেদানা:
বেদানার দানা জলে ভাল করে ফোটান। যতক্ষণ না বেদানার দানা ও জলের রং বদলাচ্ছে ততক্ষণ ক্রমাগত ফুটিয়ে যান। এই জল ছেঁকে রেখে দিন। দিনের দুবার করে এই জল খান।

ডুমুর:
শুকনো ডুমুর বা ফিগ ১ গ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে এই অর্ধেক জল খেয়ে নিন। আবার বিকেলের দিকে বাকি অর্ধেক জল খেয়ে নিন।

আদা ও লেবুর রস:
ডিহাইড্রেশনও পাইলসের অন্যতম কারণ। আদা ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে তাতে ১ চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। দিনে দুবার করে এই মিশ্রণটি খান। এতে শরীর হাইড্রেট হবে এবং পাইলসের সমস্যাও কমবে।

কাঁচা পেঁয়াজ:
পাইলসের কারণ যে মলদ্বার থেকে রক্ত পরার সমস্যা তৈরি হয়, কাঁচা পেঁয়াজে সে সমস্যা অনেকটাই কমে। অন্ত্রের যন্ত্রণা প্রশমিত করতেও সাহায্য করে।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার সহজ উপায়

প্রাতঃকর্মের সময় বসার ধরণ:
অনেকসময় ভুল পদ্ধতিতে কমোডে বসার ফলে অতিরিক্ত চাপের প্রয়োজন হয়। পায়ের নিচে একটা ছোট টুল রাখুন। কমোডে বসার সময় একটু সামনের দিকে ঝুঁকে বসুন। এতে বৃহদন্ত্রের কম চাপ পড়বে।

ওয়ার্কআউট:
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কমাতে ও শরীরে রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত ওয়ার্ক আউট করা উচিত। তবে যদি খুব পরিশ্রম করেন বা ভার উত্তোলন করেন তাহলে পাইলসের সমস্যা বাড়তে পারে। সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানোর মতো হাল্কা ওয়ার্কআউট করুন।

হলুদ:
কাঁচা হলুদ জলে ফোটান ভাল করে। আর এই জল নিয়মিত খান। এতে পাইলসের সমস্যায় অনেকটা উপকার পাওয়া যায়।

কলা:
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সবচেয়ে উপকারি এবং অব্যর্থ ওষুধ হল কলা। বিনা কষ্টে মলত্যাগ করতে সাহায্য করে কলা। এর ফলে মলদ্বারে কোনও চাপ পড়ে না, ফলে পাইলসের সমস্যা বৃদ্ধি হয় না। কলা সোয়াবিনের দুধ দিয়ে খেলে আরও তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যাবে।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT