জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহে বানিজ্যিক ভাবে কাশ ফুলের চাষ শুরু হয়েছে। এই অঞ্চলে গেয়ো মেঠো পথে কাশফুল শুধু সৌন্দর্য্যই বৃদ্ধি করে না, আর্থিক ভাবে স্বচ্ছলতা ও আনে। কালীগঞ্জ ও ঝিনাইদহে বর্তমানে গাদাফুল, রজনী গন্ধ্যাসহ বিভিন্ন ফুল চাষ হচ্ছে। অন্যান্য ফুল চাষের মত কাশ ফুল চাষ করে কৃষকরা আর্থিক ভাবে লাভবানও হচ্ছেন। কারন কাশ ফুল চাষ করতে খরচ খুবই কম হয়। এবার কাশফুল চাষ করে নজির সৃষ্টিতে দুই উপজেলার চাষীরা অধিক আগ্রহে এগিয়ে যাচ্ছেন। কাশ ফুল চাষীরা জানান, কাশ বনে গজিয়ে উঠা অন্যান্য আগাছা গুলো পরিষ্কার করে সার দিলেই চলে। প্রতি বছর শীত মৌসুমে কাশবন কাটতে হয়। কাশবনের খড় বিক্রয় করতে তেমন ঝামেলা পোহাতে হয় না। ক্ষেত থেকেই পাইকারী ব্যবসায়ী ছাড়াও পান চাষীরা ক্রয় করে নিয়ে যায় তাদের বরজ ছাওয়ার জন্য। কালীগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের চাষী খোকন জানান, তিনি ৪ বিঘা জমিতে কাশ ফুলের চাষ করেছেন। গত বৎসর তিনি ১ লাখ টাকার উপরে ঝাটি বিক্রয় করেছেন।
এখন পর্যন্ত তার ব্যয় হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এ বৎসর তিনি দুই লক্ষ টাকার উপরে ঝাটি বিক্রয় করবে বলে আশা করেছেন। তাছাড়া একই গ্রামের, মুকুল, লুৎফর কাশফুলের চাষ করছেন। অনুরুপ ভাবে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পবহাটি গ্রামের হারুন কাশফুলের চাষ করছেন। পান চাষীরা জানান, কাশ বন থেকে পাওয়া খড় ও ঝাটি পানের বরজের জন্য খুবই প্রয়োজন। খড় দিয়ে পানের বরজে ছাউনি দেওয়া হয়। পান গাছের শলার সাথে বেধে উপরে তুলতে সাহায্য করে। সুতলি বা অন্য কিছু দিয়ে বাধলে অল্প দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু খড় দিয়ে বাধলে অনেক দিন থাকে। তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় না। এ কারনে বরজে খড় ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে ঝাঁটি বরজের ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ কৃষি কর্মকর্তা ড.খান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, কাশ ফুল চাষ করলে অল্প খরচে অধিক অর্থ পাওয় যায়। অকারনে কোন জমি পড়ে থাকে না, আবার আয়ের পরিমান বেড়ে যায়। এ চাষের জন্য চাষীদের উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে।