টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট নিশ্চিত করেছেন যে গির্জায় বন্দকধারীর গুলিতে ২৬ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২৫ জন।
উইলসন কাউন্টির সাদারল্যান্ড স্প্রিং শহরের ফার্স্ট ব্যাপ্টিস্ট চার্চে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
গভর্নর অ্যাবট সংবাদ সম্মেলনে ২৬ জনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে বলেছেন, ওই অঙ্গরাজের্য ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা এটি।
ঘটনার পরপরই হামলাকারীও নিহত হয়েছে, তবে পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে নাকি সে আত্মঘাতী হয়েছে তা নিশ্চিত নয়।
এদিকে এফবিআই কর্মকর্তারা ঘটনার তদন্তে যোগ দিয়েছেন।
টেক্সাসের পাবলিক সেফটি ডিপার্টমেন্টএর মুখপাত্র জানান, স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সন্দেহভাজন হামলাকারী চার্চে ঢুকে গুলি ছুড়তে শুরু করে। তার বয়স বিশ বছরের মতো। তিনি একজন শ্বেতাঙ্গ তরুণ এবং তার পরনে কালো রংয়ের পোশাক ছিল। হামলাকারী গুলিবর্ষণ শুরু করলে তার হাত থেকে একজন স্থানীয় ব্যক্তি রাইফেল কেড়ে নেয় এবং তার দিকে গুলি ছোড়ে। এরপর বন্দুকধারী একটি গাড়িতে চড়ে পালিয়ে যেতে উদ্যত হয়। পুলিশ তাকে গাড়ির ভেতর মৃত অবস্থায় পায়।
এফবিআইর কর্মকর্তারা বলছেন, এখনও পর্যন্ত হামলাকারীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা যায়নি।
ক্যারি মাতুলা নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী এনবিসি নিউজকে বলেন, “আমরা সেমি-অটোমেটিক বন্দুকের গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছি। আমরা চার্চটি থেকে ৫০ গজ দূরে ছিলাম।”
হামলার ঘটনার পরপরই এশিয়া সফররত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন, এফবিআই এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে রয়েছে। তিনি জাপান থেকে পরিস্থিতির খবরাখবর রাখছেন।