রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মামলাটি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ঠিক করেছেন। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ১২৩ (ক) ধারায় আদালতে ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর মামলাটি করেন। এদিন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ পূর্বক গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। মামলার বিবরণে বলা হয়, তারেক রহমান ২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ইষ্ট লন্ডনের বেথনাল গ্রিন এলাকার ইয়র্ক হলে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক’ আলোচনা সভায় তারেক রহমান তার বক্তব্যে দেশ এবং দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে দেশের স্বাধীনতা, স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস এবং ওই যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে প্রশ্নবিদ্ধ, বিকৃত ও অস্বীকার করার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া, বাদী তারেক রহমানকে বাংলাদেশ ও দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার নীল নকশা প্রণয়নকারী বলেও আরজিতে উল্লেখ করেন। এ ঘটনার পরের দিন এক পত্রিকায় ‘যুক্তরাজ্যে বিএনপির সভায় তারেক,শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু নন পাকবন্ধু’ শীর্ষক সংবাদটির মাধ্যমে আসামির রাষ্ট্রদ্রোহমূলক অপরাধের কথা জানতে পারেন এবং একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে ক্ষুব্ধ হয়ে এ মামলাটি করেন।