বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
দেশের প্রথম ন্যানো স্যাটেলাইট ‘ব্র্যাক অন্বেষা’
প্রকাশ: ১১:২৭ am ০৯-০২-২০১৭ হালনাগাদ: ১১:২৯ am ০৯-০২-২০১৭
 
 
 


বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী তৈরি করেছে ন্যানো স্যাটেলাইট ‘ব্র্যাক অন্বেষা’। কৃত্রিম এ উপগ্রহটির মাধ্যমে বাংলাদেশ সফল যাত্রা শুরু করতে চলেছে মহাকাশের পথে।

বুধবার জাপানের কিতাকিউশু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (কেআইটি) থেকে নিজ শিক্ষার্থীদের তৈরি ‘ব্র্যাক অন্বেষা’ গ্রহণ করেছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য সৈয়দ সাদ আন্দালিব। ন্যানো স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জাপানের কিতাকিউশু থেকে বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠানটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি দেখানো হয়।

সৈয়দ সাদ আন্দালিব বলেন, ‘এটি একটি ছোট্ট পদক্ষেপ হলেও অনেক বড় যাত্রার শুরু। এই ন্যানো স্যাটেলাইট নির্মাণের মাধ্যমে প্রমাণ হলো বাংলাদেশ নির্মাণও করতে পারে।’

স্যাটেলাইটটির নকশা তৈরি, উপকরণ সংগ্রহ থেকে শুরু করে তৈরির সব কাজই করেছেন ব্র্যাকের তিন শিক্ষার্থী রায়হানা শামস ইসলাম অন্তরা,  আবদুল্লা হিল কাফি ও মাইসুন ইবনে মনোয়ার। তারা  ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল (ইইই) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে জাপানের কেআইটিতে এখন স্নাতকোত্তর করছেন।

এই প্রকল্পের প্রধান মো. খলিলুর রহমান জানান, মাত্র ১০ ইঞ্চির এ কৃত্রিম উপগ্রহটি যোগাযোগ ও উন্নয়ন কাজে সাহায্য করবে। এটা পৃথিবী থেকে চারশ’ কিলোমিটার ওপরে থাকবে। ব্র্যাক অন্বেষার পৃথিবীর চারপাশ প্রদক্ষিণ করে আসতে সময় লাগবে ৯০ মিনিট। এটি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে দিনে চার থেকে ছয়বার উড়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ন্যানো স্যাটেলাইট তৈরি বা উৎক্ষেপণের কাজ  জাপানে হলেও বাংলাদেশ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশনটি নির্মাণে কাজ করছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক দল শিক্ষার্থী। এরা হলেন- মোজাম্মেল হক, সানন্দ জগতি, বিজয় তালুকদার ও আইনুল হুদা।

এই চার শিক্ষার্থীর প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে স্টেশন নির্মাণে সহায়তা করছে স্পারসো। স্টেশনটি থেকে দিনে ছয় মিনিট ব্র্যাক অন্বেষার সংগ্রহ করা তথ্য নামানো যাবে।

চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উদ্বোধন করতে যাচ্ছে জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, তার আগে এই ন্যানো স্যাটেলাইট নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য আরেকটি সাফল্য।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাথমেটিকস অ্যান্ড ন্যাচারাল সায়েন্স বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. জিয়াউদ্দিন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি তোশিয়ুকি নোগুচি প্রমুখ।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT