প্রথমে ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব। তারপর দেখা করতেন তিনি। সুন্দরী তরুণীর ডাকে সাড়া দিয়ে যারা তার সঙ্গে দেখা করতেন, তাদের নিজের প্রেমের জালে অনায়াসে জড়িয়ে ফেলতেন তিনি। সম্পর্ক গভীর হলে দৈহিক সম্পর্কও তৈরি হতো দুইজনের মধ্যে।একদিন তিনি ওই ব্যক্তিকে জানাতেন যে তিনি সন্তানসম্ভবা। দ্রুতই বিয়ে করতে হবে। ভালবেসে যে মেয়েটিকে কাছে টেনে নিয়েছিলেন তাকে এ অবস্থায় ফেলে যাবার কথা ভাবার প্রশ্ন উঠত না। বিয়েতে রাজি হয়ে যেতেন ওইসব তরুণ।ওই তরুণীর দেশে বিয়ের নিয়ম হলো পাত্রপক্ষ পাত্রীপক্ষকে দেবে। সে নিয়ম দেখিয়ে ৬ হাজার ডলার থেকে শুরু হতো পণ নেয়া। সব মিটে গেলে বিয়ের ৩-৪ দিন পরই নববধূ চোখে জল আনা এক করুণ কাহিনি তুলে ধরতেন স্বামীর সামনে।এরপর কখনো পারিবারকে তাদের বিয়েটা মেনে নেয়ার জন্য বোঝাতে যাওয়া, কখনো পারিবারিক ফলের ব্যবসা না দেখলেই নয় বলে চম্পট দেয়া, কখনো রাশিফলে এখন বিয়েটা উচিত নয় বলে কিছুদিনের জন্য দূরে থাকার কথা বলে হাওয়া হয়ে যাওয়া।সদ্য বিয়ে করা স্বামীকে ফেলে তিনি চলে যেতেন সুদূরে। বলতেন কিছুদিনের মধ্যেই ফের তাদের দেখা হবে। কিন্তু সে দেখা আর কোনোদিনই হতো না।ওই তরুণী থাইল্যান্ডের। থাইল্যান্ডসহ বৈশ্বিক গণমাধ্যমগুলো এখন এ তরুণীকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে।এরইমধ্যে গেলো বৃহস্পতিবার সত্যিকারের স্বামী কিতিসাট কান্তিওয়াতকুলসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন জারিয়াপ্রন বুয়াই নামের ওই নারী। ক্রাথুম বায়েন জেলা থেকে তাদের আটক করা হয়।থাই পুলিশ জানিয়েছে, শেষ এক বছরে এ ফর্মুলায় ১১ জন পুরুষকে ফাঁসিয়েছে এ তরুণী। নিজের সৌন্দর্যের জালে জড়িয়ে বিয়ে করে তাদের কাছ থেকে ছয় হাজার ডলার থেকে ৩০ হাজার ডলার পণ নিয়ে করুণ কাহিনি শুনিয়ে পালিয়ে গেছে।গেলো আগস্টেই তিনি চারজনকে এমনভাবে বিয়ে করে ফাঁসিয়েছেন। পুলিশ ৩২ বছর বয়সী ওই তরুণীর বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মেয়েকে এ পথে চালিত করায় বাবা-মায়ের হাত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।