প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি পরীক্ষায় থাকছে না এমসিকিউ বা নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন। বর্তমানে অতিরিক্ত পরিমাণে প্রশ্নফাঁস হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া একই সঙ্গে পিইসি পরীক্ষায় নজরদারি বাড়াতে পরীক্ষা পদ্ধতিতেও একাধিক পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির মাসিক সমন্বয় সভায় পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়া শিক্ষানীতি অনুযায়ী শতভাগ সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা আয়োজন, প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে সফটওয়ারের মাধ্যমে আট দিনের মধ্যে প্রশ্ন বিতরণ (আগে ২৫ দিন সময় প্রয়োজন ছিল), ছয় সেট প্রশ্নপত্রের বদলে আট সেট তৈরি সিদ্ধান্ত হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই সভায় মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরসহ প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকের ছয়টি বিষয়ের মধ্যে বাংলায় ১০, ইংরেজিতে ২০, গণিতে ২৪, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ে ৫০, প্রাথমিক বিজ্ঞানে ৫০ ও ধর্ম বিষয়ে ৫০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নপত্র রাখা হতো। কিন্তু নতুন নির্দেশনার আলোকে এমসিকিউ বাদ দিয়ে ওসব জায়গায় রচনামূলক প্রশ্ন সংযুক্ত করা হবে।