শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
প্রকাশ: ০১:২৪ pm ৩০-০৪-২০১৭ হালনাগাদ: ০২:১৮ pm ৩০-০৪-২০১৭
 
 
 


ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়ায় দুই চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

রোববার সকালে দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় ১০/১২টি বাড়িঘর ভাঙচুর হয়। উভয় পক্ষই আওয়ামী লীগের সমর্থক।

নিহতের নাম মো. জিয়া শেখ (৩০)। তিনি গোয়ালপাড়া গ্রামের মো. শাহাযোদ্দি শেখের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, সদর উপজেলা ও সালথা উপজেলার সীমান্তবর্তী রনকাইল বিল ভোগদখলকে কেন্দ্র কলে সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কানাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকির বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম খাঁন সোহাগের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিকবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

শনিবার রাতে সালথা উপজেলার সীমান্তবর্তী ঘোষের বাজারে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোহাগ চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত গাড়িচালক মো. সুজনের সঙ্গে বেলায়েত চেয়ারম্যানের সমর্থক আব্দুর রাজ্জাক ও মনা খাঁর কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে রোববার সকাল থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সোহাগ চেয়ারম্যানের পক্ষের সমর্থক জিয়া নিহত হন। এ সময় আরো অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতের মধ্যে ১৫ ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এদিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার সুভাষ সাহা জানান, ফরিদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ফরিদপুরের সালথার উপজেলার আটঘর ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম খান সোহাগ বলেন, রোববার সকালে কানাইপুর ইউপির চেয়ারম্যান ফকির বেলায়েত হোসেনের সমর্থকেরা অতর্কিতে আমার ও আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় তারা আমার এলাকার জিয়া শেখ নামে এক যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে এবং অন্তত ২০ জনকে আহত করে।

এ সময় হামলাকারীরা সুজন মাতুব্বর, আফজাল হোসেন, লিয়াকত হোসেন খানসহ ১০/১২টি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

অন্যদিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাউপুর ইউপির চেয়ারম্যান ফকির বেলায়েত হোসেন বলেন, এই হামলার সঙ্গে আমার কিংবা আমার কোনো লোক জড়িত নয়। সালথা উপজেলার আটঘর ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। আমি হামলা করতে যাব কেন?’
 

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT