ফ্রান্সের ভোটাররা আজ তাদের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে যাচ্ছে। অবিশ্বাস্য নির্বাচনী প্রচারণার ফলে বিভক্ত দেশটির নাগরিকরা কাকে তাদের নেতা হিসেবে গ্রহণ করবে সেটি এখন দেখার বিষয়। চূড়ান্ত লড়াইয়ে মধ্যমপন্থী ইমানুয়েল ম্যাক্রোনের মুখোমুখি কট্টর ডানপন্থী লি পেন। দেশব্যাপী রোববার (৭ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে, চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। অপরদিকে হ্যাকিং নিয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ বলেছেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ইমানুয়েল ম্যাক্রন যে বড় ধরণের হ্যাকিং এর শিকার হয়েছেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হ্যাকিংয়ের জন্য সন্দেহের তীর রাশিয়ার দিকেই যাচ্ছে। তবে ইমানুয়েল ম্যাক্রোন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বি মেরিন লি পেন উভয়েরই এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিবিসির প্যারিস সংবাদদাতা জানিয়েছেন হ্যাকিংয়ের ঘটনা নির্বাচনের ফলাফলে খুব বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে না। ফাঁস হওয়া তথ্য নির্বাচনের প্রাক্কালে কেউ প্রচার করলে ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হবেন বলে ফরাসি কর্তৃপক্ষ শনিবার (৬ মে) সতর্ক করেছে। ফ্রান্সের নির্বাচনী ব্যবস্থা অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বে যদি কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনে অংশ নেবেন শীর্ষ দুই প্রার্থী। ২৩ তারিখের নির্বাচনে ৯৬ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা যাচ্ছে, ২১.৪ শতাংশ ভোট পাওয়া উগ্র-ডানপন্থী এন এফ পার্টির নেতা মেরিন লি পেনের সাথে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২৩.৯ ভাগ ভোট পাওয়া ম্যাক্রোন। নির্বাচনের প্রধান একটি ইস্যু বেকারত্ব। দেশটিতে বেকারত্বের হার ১০ শতাংশ। ২৮ টি ইইউ-ভুক্ত দেশের মধ্যে বেকারত্বের দিক দিয়ে ফ্রান্সের অবস্থান অষ্টম। আরেকটি প্রধান ইস্যু নিরাপত্তা। ফ্রান্স এখনো জরুরী অবস্থার মধ্যে রয়েছে। কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, ইরাক এবং সিরিয়ায় যুদ্ধে যাওয়া শত-শত ফরাসী মুসলিম তরুণ হয়তো দেশে ফিরে নানা ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করবে। আর তাই যে প্রার্থীই জয় লাভ করুন না কেন তাকে সবার আগে এই দুই সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে।