নির্ভুল উত্তর, সহিহশুদ্ধ উচ্চারণ ও্ সুললিত কন্ঠে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করে সুদানের রাজধানী খার্তুমে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের কিশোর হাফেজ মো. জাকারিয়া।
সুদানের রাজধানী খাতুমে অনুষ্ঠিত ৮ম খার্তুম ইন্টারন্যাশনাল কোরআন এ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১০ জনের মাঝে চতুর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি হাফেজ মো. জাকারিয়া।
০৭ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় ৫৫টি দেশে ৮৩ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। শুক্রবার ছিল প্রতিযোগিতার শেষ দিন। স্থানীয় সময় রাত ৮টায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন থাইল্যান্ডের হাসান সামুহ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আলজেরিয়ার আয়েশা নিউশি। আর তৃতীয় হয়েছেন কাতারের প্রতিনিধি আবদুর রহমান।
সুদানের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও কোরআন প্রচার সংস্থা আঞ্জুমানের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হিফজুল কোরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে দেশটির প্রেসিডেন্ট ওমর আল বাশির পুরস্কার বিতরণ করেন।
পুরস্কার হিসেবে বাংলাদেশের মো. জাকারিয়া পেয়েছেন ১০ হাজার মার্কিন ডলার।
এর আগে ০৭ জানুয়ারি সকালে সুদানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন হাফেজ মো. জাকারিয়া। তার সঙ্গে রয়েছেন যাত্রাবাড়ী তাহফিজুল কোরআন ওয়াস সুন্নাহ মাদরাসার পরিচালক আলহাজ হাফেজ ক্বারী নাজমুল হাসান।
হাফেজ মো. জাকারিয়া হাফেজ মাওলানা ফয়জুল্লাহ ও মোসাম্মৎ জাহানারার একমাত্র ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার চর ইসলামপুরে।
গত ডিসেম্বরে (২০১৬) বাহরাইনের ১৪তম শেখ জুনাইদ আলম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার কেরাত ও হেফজ বিভাগে ৫৭ দেশের শতাধিক প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ মো. জাকারিয়া।
১৫ বছর বয়সী হাফেজ জাকারিয়া এর আগে ২০১৫ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক শহর দুবাইয়ে ১৯তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৮০টি দেশের প্রতিযোগীকে হারিয়ে তৃতীয় ও সুর ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান লাভ করেন।
হাফেজ জাকারিয়া ৭ বছর বয়স থেকে পবিত্র কোরআনে কারিম হেফজ করা শুরু করেন। বর্তমানে যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচাস্থ আলহাজ হাফেজ ক্বারী নাজমুল হাসান কর্তৃক পরিচালিত তাহফিজুল কোরআন ওয়াস সুন্নাহ মাদরাসায় পড়াশোনা করছেন।