দেশের প্রথম বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের লাইসেন্স অবশেষে বাতিল করে দেয়া হয়েছে।
সোমবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) কমিশন বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, “সরকারের অনুমোদনের পরে কমিশন বৈঠকে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।”
এর আগে গত সপ্তাহে অপারেটরটির লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের ফাইল বিটিআরসিতে যায়।
গত বছরের ৩১ জুলাই গ্রাহকদের দুই সপ্তাহের মধ্যে বিকল্প সেবা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল বিটিআরসি। সেই হিসেবে সে বছরের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় পান গ্রাহকরা।
যদিও ১৪ আগস্ট ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম পরে জানান, বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রাহকরা আরো সময় পাবেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত বছরের ২৯ আগস্ট সিটিসেলকে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা বকেয়া দুই কিস্তিতে পরিশোধ করার শর্তে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি সময় পেয়েছিল দুই মাস।
আপিল বিভাগ গত বছরের ৩ নভেম্বর শর্তসাপেক্ষে অবিলম্বে তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়ার নির্দেশ দেন। এর পর দুই দিন পার হলেও তরঙ্গ ফিরে না পাওয়ায় সিটিসেল কর্তৃপক্ষ ফের আদালতের শরণাপন্ন হয়। এর মধ্যে তাদের পক্ষ থেকে বকেয়া টাকার মধ্যে ১৪৪ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়।
পরে আপিল বিভাগ আদেশ দেন, ১৯ নভেম্বরের (২০১৬) মধ্যে সিটিসেল বকেয়ার ১০০ কোটি টাকা পরিশোধ না করলে আবারো তরঙ্গ বন্ধ করে দিতে পারবে বিটিআরসি।
গত বছরের ২০ অক্টোবর বকেয়া টাকা শোধ না করায় সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ বাতিল করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে ঢুকে তরঙ্গ বন্ধের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন বিটিআরসির কর্মকর্তারা।