বাল্য বিবাহকে না বলি, আপনার সচেতনতাই পারে বাল্য বিবাহকে প্রতিরোধ করতে, এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার কেউন্দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সংগ্রামি সাহসী তাহমিনা সাইকেলে চড়ে মাস ব্যপি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে যাত্রা শুরু করলেন। প্রতিবন্ধী স্কুলের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের গন্ডি পেড়িয়ে নিজ গ্রাম কেউন্দিয়া থেকে ১০ মাইল সাইকেলে চড়ে উপজেলা উত্তর নিলতী সমতট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে, বাল্য বিবাহকে না বলি, আপনার সচেতনতাই পারে বাল্য বিবাহকে প্রতিরোধ করতে, এ সম্মেলিত লেখা লাল কার্ড শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন এই সংগ্রামি নারী তাহমিনা। শিক্ষার্থীরা লাল কার্ড উচিয়ে বাল্য বিবাহকে না বলি এই শ্লোগানে মুখরিত করে। বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কিত লিফলেট বিতরন করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের বাল্য বিবাহকে না বলি এ বিষয়ে শপথ বাক্য পাঠ করান তাহমিনা। এ সময় উত্তর নিলতী সমতট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান, প্রতিবন্ধি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষা উদ্যক্তা আব্দুল লতিফ খসরু ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন। একই দিন উপজেলার এস বি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বাল্য বিবাহকে না বলি, আপনার সচেতনতাই পারে বাল্য বিবাহকে প্রতিরোধ করতে, এই শ্লোগান সম্বলিত লাল কার্ড শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়। এসময় এস বি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তাফিজুর রহমান ও সহকারি শিক্ষক আব্দুল হালিম উপস্থিত ছিলেন। একই উপজেলার কেউন্দিয়া শহিদ স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ে ও কেউন্দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। পরে এই সচেতনতা কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে। জানা যায় তাহমিনা উপজেলার কেউন্দিয়া গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান তার পিতা মোঃ রুহুল আমিন একজন দিনমজুর, মাতা মাজেদা বেগম গৃহিনী। লেখাপড়ার পাশাপাশি তাহমিনা নারী জাগরন ও বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কাজ করবে বলে জানান। এব্যাপারে প্রতিবন্ধি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষা উদ্যেক্তা আব্দুল লতিফ খসরু বলেন, বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি, এই ব্যাধিকে দুরকরার জন্য নিজের দায়বদ্ধতা থেকে সংগ্রামি সাহসী শিক্ষার্থী তাহমিনাকে সহযোগিতা করেছি মাত্র। আর এই কাজটি করতে পেড়ে আমি আনন্দিত ও গর্বিত।