আরব উপসাগরীয় অঞ্চলে কূটনৈতিক সংকটের জের ধরে মক্কায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন কাতারের নাগরিকরা। দোহাভিত্তিক সংবাদপত্র আল শারক শনিবার (১০ জুন) জানিয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ মুসলিমদের সর্বোচ্চ তীর্থস্থান মক্কার মসজিদুল হারামে কাতারের নাগরিকদের প্রবেশে বাধা প্রদান করছে। আল শারকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদিতে অবস্থানরত কাতারের হাজীরা সেদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছেন যে তাদের মক্কার মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। মানবাধিকার কমিশনের প্রধান আলি বিন আসমাইখ আল-মাররি এ ঘটনাকে মানুষের ধর্মচর্চার অধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। তারা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন। সাধারণত সৌদি সরকার কখনোই জাতীয়তা বা সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে কাউকে মসজিদুল হারামে প্রবেশে বাধা দেয় না। এখন পর্যন্ত কূটনৈতিক সম্পর্কের জেরে কাউকে মসজিদ এলাকায় ঢুকতে বাধা দেয়া বা আটকানো হয়নি। সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাতারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করাকে অপরাধের সামিল ঘোষণা করার পরই এ অভিযোগ আনা হয়েছে। আরব আমিরাত এ অপরাধের শাস্তি হিসেবে ১৫ বছর জেল এবং ১ লাখ ৩৬ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা নির্ধারন করেছে। বাহরাইন এ অপরাধের শাস্তি ৫ বছরের কারাদণ্ডের ঘোষণা দিয়েছে। কাতারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে সাইবার হামলার পর থেকে আরব দেশগুলোর সঙ্গে কুটনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। গত সোমবার (৬ জুন) জঙ্গিবাদে সমর্থন প্রদানের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিশর কূটনৈতিক সম্পর্কসহ সকল প্রকার সম্পর্ক ছেদ করে। তবে কাতার কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।