চিকিৎসার জন্য নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে তিন মাসের জন্য পাসপোর্ট ফেরত দিতে অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার এক সপ্তাহের মধ্যে মান্নাকে ওই পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে মান্নার করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতে মান্নার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান। সঙ্গে ছিলেন এম মনজুর আলম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির।
পরে ইদ্রিসুর রহমান বলেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে ২১ আগস্ট আবেদন করেন মান্না। আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে মান্নাকে তিন মাসের জন্য পাসপোর্ট দিতে অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রদ্রোহ ও সেনাবিদ্রোহে উসকানির অভিযোগে করা পৃথক দুই মামলায় মান্নাকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন গত বছরের ২৮ নভেম্বর বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এরপর কারাগার থেকে মুক্তি পান মান্না।
আপিল বিভাগ তাঁর আদেশে বলেছিলেন, পুলিশের প্রতিবেদন দাখিল করা পর্যন্ত দুই মামলায় মান্নার জামিন বহাল থাকবে। তাঁর পাসপোর্ট জব্দ করা না হলে তা জমা রাখতে হবে।
আদালতের আদেশে পরে পাসপোর্ট জমা দেন মান্না।
রাষ্ট্রদ্রোহ ও সেনাবিদ্রোহে উসকানির অভিযোগে ২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ও ৫ মার্চ গুলশান থানায় মান্নার বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়। নিউইয়র্কে অবস্থানরত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা এবং অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে মান্নার টেলিফোন আলাপের অডিও ক্লিপ প্রকাশের পর ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি মান্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।