একজন ইসরায়েলি-খ্রিস্টান ব্যক্তি মুসলিম ছেলের সঙ্গে প্রেম করায় তার কিশোরী মেয়েকে হত্যা করেছেন। বুধবার (১৯ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। আইনজীবীরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় শহর রামলের অধিবাসী ৫৮ বছর বয়সী সামি কারা তার মেয়েকে হাইস্কুল গ্র্যাজুয়েট হবার একদিন পরই হত্যা করেন। ইসরায়েলি আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ১৭ বছর বয়সী হেনরিয়েট কারা বাবা-মায়ের মতের বিরুদ্ধে একজন মুসলিম ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগে বলা হয়, মে মাসের শেষের দিকে বাবা-মায়ের হুমকি এবং নির্যাতনের কারণে হেনরিয়েট বাসা ছেড়ে চলে যায়। এবং সে তার প্রেমিকের মায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করে। পরবর্তীতে হেনরিয়েটের পরিবার তাকে এবং প্রেমিকের মাকে হুমকি দিয়ে বাসায় ফিরিয়ে নেবার চেষ্টা চালায়। অভিযোগে প্রেমিকের মায়ের পরিচয় জানানো হয়নি। তবে তিনি কারার পক্ষ হয়ে পুলিশে ফোন করেন। কিন্তু সে পুলিশের সাহায্য নিতে এবং বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। জুন মাসে হেনরিয়েট তার এক বান্ধবীর বাসায় থাকতে শুরু করে। সেখানেও তার বাবা গিয়ে ক্রমাগত হুমকি এবং শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। পরবর্তীতে একজন সমাজকর্মীর মধ্যস্থতায় হেনরিয়েট তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যায়। ১২ জুন সে তার গ্র্যাজুয়েশন পার্টি উদযাপন করে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে পরদিনই তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়। ১৩ জুন সকালে সে তার প্রেমিককে ১০০ ডলার পাঠাতে পোস্টঅফিসে যায়। তার প্রেমিক অনির্ধারিত কারণে কারাবাসে ছিলো এবং ওই সপ্তাহের শেষ দিকে তার জামিনের কথা ছিলো। পোস্টঅফিস থেকে বাড়ি ফেরার পর হেনরিয়েট তার পরিবারের একজন সদস্যকে জানায় সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে রাজি। এ কথা হেনরিয়েটের বাবা জানার পর তাকে একটি ছুরি দিয়ে তিনটি আঘাত করেন। এতে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। বাবা সামি কারাকে পরদিনই গ্রেফতার করা হয়।