যৌন হয়রানি ও প্রকাশনা জালিয়াতির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক রাজীব মীরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিস ও শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের জন্য অন্য এক শিক্ষকের পদোন্নতি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৪তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান জানান, রাজীব মীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে সিন্ডিকেট সভায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মীর মোশারেফ হোসেন ওরফে রাজীব মীরের বিরুদ্ধে বিভাগের ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নাট্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হালিম প্রামাণিককে এবং প্রকাশনা জালিয়াতির অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমেদকে কারণ দর্শানোর নোটিস প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। এদিকে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলা ও পরীক্ষায় শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক দেওয়ান বদরুল হাসানের পদোন্নতি আবেদন আগামী দু’বছরের জন্য বিবেচনা না করা এবং আগামী পাঁচ বছরের জন্য ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সব কার্যাবলি থেকে তাকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।