বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
রূপা ধর্ষণ ও হত্যায় ৪ জনের ফাঁসি
প্রকাশ: ১২:৫১ pm ১২-০২-২০১৮ হালনাগাদ: ১২:৫৬ pm ১২-০২-২০১৮
 
 
 


টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে জাকিয়া সুলতানা রূপাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামিম (২৬), আকরাম (৩৫ ), জাহাঙ্গীর (১৯) ও চালক হাবিবুর (৪৫)। আর বাসের সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি এই মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। সেদিন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আসামিদের প্রত্যেককে নির্দোষ দাবি করেন এবং তাদের বেকসুর খালাস চান। ৩১ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

প্রসঙ্গত, গত বছর ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহে যাওয়ার পথে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল’ কলেজের শিক্ষার্থী রুপাকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে পরিবহন শ্রমিকরা। পরে বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে মৃতদেহ ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত হিসেবে রূপার মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে রূপার ভাই হাফিজুর রহমান ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় যান। সেখানে গিয়ে মৃতদেহের ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫), সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে তারা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর ও সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছে। ৩১ আগস্ট রূপার মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে দাফন করা হয়।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT