বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ যে মঞ্চে দিয়েছিলেন, সেই স্থান নির্ধারণ করে সেখানে ভাস্কর্য নির্মাণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য সচিব, সংস্কৃতি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
এ বিষয়ে রিটকারীর আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৫টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্বঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুপ্রিম কোর্ট দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে বিভিন্ন আদেশ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ যে স্থানটিতে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানে মঞ্চ নির্মাণ করতে রুল জারি করা হয়েছে।
এর আগে চারজন প্রকৌশলীর পক্ষে অ্যাডভোকেট লুৎফুল কবির হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদের করা রিটের শুনানি শেষে গত বছরের ২০ নভেম্বর হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন।
ওই রুলেও ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যে স্থানে ভাষণ দিয়েছিলেন, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ ও ইন্দিরা গান্ধীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে, সেই স্থানে মঞ্চ পুনর্নির্মাণ এবং বক্তব্যরত বঙ্গবন্ধুর আঙুল উঁচানো ভাস্কর্য কেন নির্মাণ করা হবে না, তা জানতে চেয়েছিলেন আদালত।