রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে কমনওয়েলথ। একইসঙ্গে স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাখাইনে নিপীড়নকারীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থার নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার সদস্য দেশগুলোর সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ২৫তম কমনওয়েলথের যৌথ ইশতেহারে এ বিষয়টি গৃহীত হয়।
২৫তম কমনওয়েলথ সম্মেলনের শেষদিনের সমস্ত কার্যক্রম ছিলো বৃটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাসভবন বাকিংহাম প্যালেসের উইন্ডসর ক্যাসেল ঘিরে। কড়া নিরাপত্তায় সেখানে বিশ্বনেতারা প্রবেশ করেন লন্ডন সময় সকাল ১০টায়।
অন্যান্য সরকারপ্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজ বাড়ীতে স্বাগত জানান রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। পরপর তিনটি সেশনে অংশ নেন কমনওয়েলথ নেতারা। আলোচনা হয় দেশগুলোর সমুদ্র সংরক্ষণ, সাইবার নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে। সংগঠনভুক্ত পিছিয়ে পড়া দেশগুলোকে এগিয়ে নিতে অঙ্গীকার করা হয় সবার জন্য অভিন্ন আগামীর।
সভা শেষে কমনওয়েলথ চেয়ারপার্সন ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ফলপ্রসূ এবারের সম্মেলন।
পরে সদস্য দেশগুলোর সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ২৫তম কমনওয়েলথের যৌথ ইশতেহারে, মিয়ানমারের রাখাইনে সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা ও স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে রোহিঙ্গা নিপীড়নে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান সরকারপ্রধানরা।