নারায়ণগঞ্জ বন্দরের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
এক শিক্ষিকাকে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পুলিশের দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালতে শুনানি শেষে বিচারক এই আদেশ দেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বন্দর পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ইংরেজির শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের চাকরি এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার জন্য তার কছে থেকে প্রথমে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। পরবর্তীকালে তার কাছ থেকে আরো এক লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষিকা মোর্শেদা বেগমকে এমপিওভুক্ত করার কোনো উদ্যোগ নেননি তিনি।
এই ঘটনায় গত বছরের ১৪ জুলাই মোর্শেদা বেগম বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত বন্দর থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। পরে গত ১৭ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ শ্যামল কান্তি ভক্তকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ মে পিয়ার সাত্তার লফিত উচ্চ বিদ্যালয়ে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশে কান ধরে ওঠ বস করানোর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় হাইকোটের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি সাংসদ সেলিম ওসমান ও অপু প্রধানকে দায়ী করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সিএমএম আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
অন্যদিকে গত বছরের ১৪ জুলাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, শিক্ষার্থী রিফাতকে মারধর ও শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পৃথক তিনজন বাদী নারায়ণগঞ্জ আদালতে তিনটি মামলার আবেদন করেন। আদালত ওই দিন বিকেলে শুনানি শেষে প্রথম দুটি মামলা খারিজ করে দেন। কিন্তু প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।