প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটাকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে তিন দিনব্যাপী বিচ কার্নিভাল শুরু হয়েছে।
আর এই বিচ কার্নিভালকে সামনে রেখে নয়নাভিরাম সাজে সজ্জিত হয়েছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।
শনিবার দুপুরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এর আগে পর্যটন করপোরেশনের যুব পান্থ নিবাস থেকে একটি র্যালি বের হয়ে সৈকত এলাকায় গিয়ে সমাপ্ত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম গোলাম ফররুখ।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, চিপ হুইফ আ. স. ম ফিরোজ, এমবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার এমপি, মাহবুবুর রহমান এমপি, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন এমপি, শওকত হাসানুর রহমান এমপি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুয়াকাটা পৌর মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা, ডিআইজি বরিশাল শেখ মারুফ হাসান, বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক খান মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
এ সময় মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক একেএম শামীমুল হক সিদ্দিকী, পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান, কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল আহসান প্রমুখ।
কুয়াকাটাকে বিশ্ববাসীর কাছে আরও মোহনীয় করে তুলতে আয়োজন করা হয়েছে এ কার্নিভালের।
কার্নিভালে প্রতিদিনই পর্যটকদের জন্য থাকছে বিচ ফুটবল, বিচ ক্রিকেট, হাডুডু, দাড়িয়াবান্ধা, ভলিবল, ঘুড়ি উৎসব, বিভিন্ন রাইড, বারবিকিউ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত এ কার্নিভালে যোগ দিয়ে পর্যটকরা অনাবিল আনন্দ উপভোগ করবেন বলে আশা করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও অরেঞ্জ ৩৬০ লিমিটেড এর সমন্বিত উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য ৬০ ঘণ্টার এই মেগা প্রোগ্রামের সূচি নিচে দেওয়া হলো :
প্রথম দিন
সকাল ১০টা : কুয়াকাটা মেগা বিচ কার্নিভ্যাল ২০১৭ এর উদ্বোধন করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সকাল ১০টা-১১টা : সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বিকাল ৪টা-৫টা : সংগীত পরিবেশন, শিল্পী আবিদ ও চুমকী।
বিকাল ৫টা-সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা : বাংলাদেশ হোটেল-মোটেল অ্যাসোসিয়েশন (কুয়াকাটা) এর আয়োজনে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবশেনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা-রাত ৮টা : লেজার শো ও দলীয় নৃত্য।
রাত ৮টা-সাড়ে ৯টা : সংগীত পরিবেশন, চিরকুট।
দ্বিতীয় দিন
সকাল : ঘুড়ি উৎসব ও ১০০ ফানুস ওড়ানো।
বিকাল ৪টা-৫টা : সংগীত পরিবেশন, শিল্পী ফকির আলমগীর।
বিকাল ৫টা-সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা : বাংলাদেশ হোটেল-মোটেল অ্যাসোসিয়েশন (কুয়াকাটা) এর আয়োজনে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবশেনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা-রাত ৮টা : লেজার শো ও দলীয় নৃত্য।
রাত ৮টা-সাড়ে ৯টা : সংগীত পরিবেশন, সজল ও ডলি সায়ন্তনী।
তৃতীয় দিন
বিকাল ৪টা-৫টা : সংগীত পরিবেশন, জাহিদ ও ডোরা।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা-রাত ৮টা : দলীয় নৃত্য।
রাত ৮টা-সাড়ে ৯টা : সংগীত পরিবেশন, এলআরবি।
রাত ১০টা : ১০০ ফানুষ উড়িয়ে এই কার্নিভ্যালের সমাপ্তি ঘোষণা করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আমির হোসেন আমু।