কারখানা সংস্কারের নামে বাড়াবাড়ি করছে ক্রেতা জোট অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স। বিজিএমই বলছে, কর্মপরিবেশ উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি কিনছেন তারা। অথচ পছন্দের প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট না মেলায়, বাতিল হচ্ছে সেসব সরঞ্জামাদি। ব্যবসায়ীদের দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অ্যাকর্ডকে তা জানানোর সুযোগ নেই। আর এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স কর্তৃপক্ষ।
পোশাক কারখানা সংস্কারের নামে, একের পর এক অযৌক্তিক ফরমায়েশ ও ব্যয়বহুল প্রেসক্রিপশন চাপিয়ে দিচ্ছে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স। সংস্কার তাদের মনঃপূত না হলে, ছিন্ন করে দেয়া হচ্ছে ব্যবসায়িক সম্পর্ক।
অ্যাকর্ড অ্যালায়েন্সের চাপে, নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে, কোটি কোটি টাকা খরচ করে নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি কিনছেন বহু কারখানা মালিক। কিন্তু সেসব সামগ্রী অ্যালায়েন্সের পছন্দের বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট না পাওয়ায়, পরিবর্তন করতে হয়েছে দফায় দফায়। অভিযোগ আছে, কোন কোম্পানি থেকে সরঞ্জাম কিনতে হবে, অনেক ক্ষেত্রে সেটাও নির্ধারণ করে দিয়েছে অ্যাকর্ডের নিয়োগ করা প্রকৌশলীরা
এভারগ্রীন সোয়েটারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাসির বলেন, তারা নানা ধরনের শর্ত দিচ্ছে, আমাদের মেম্বারদের হয়রানি করা হচ্ছে। তাদের অনুমোদিত কোম্পানি থেকেও মালামাল কেনার পর এখন সেগুলো বাতিল করে দেয়া হচ্ছে।
বিজিএমইএ সহ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, তাদের চাহিদার কথা জানানোর ১ বছর পর আবার জানালো থার্ড পার্টি সার্টিফিকেশন লাগবে। ততদিনে অনেকে হাজার হাজার ডলার খরচ করে পাম্প, ফায়ার ডোর কিনে ফেলেছে। এখন এগুলো বাদ করে দিতে হচ্ছে।
পোশাক মালিকদের সংগঠন- বিজিএমই বলছে, এত এত হয়রানি হলেও, প্রতিকারের উপায় নেই। অন্যদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, অভিযোগ থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে।
সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ আসলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে।