বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
সামান্য মুনাফার লোভে ব্যবসা ও দেশের রফতানি বাণিজ্যের ক্ষতি করবেন না- প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ: ১০:৫৪ am ২০-০৭-২০১৭ হালনাগাদ: ১০:৫৬ am ২০-০৭-২০১৭
 
 
 


সামান্য মুনাফার লোভে নিজের ব্যবসা ও দেশের রফতানি বাণিজ্যের ক্ষতি না করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ মিলনায়তনে জাতীয় মত্স্য সপ্তাহ উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু মানুষের একটু ভেজাল দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। এই ভেজাল দিয়ে বেশি মুনাফা করতে গিয়ে একেবারে নিজের ব্যবসারও সর্বনাশ। দেশেরও সর্বনাশ। এই সর্বনাশের পথে যেন কেউ না যায়। বিশেষ করে আমাদের মত্স্য ব্যবসায়ীরা। তিনি বলেন, রফতানির ক্ষেত্রে সবসময় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যাতে কোনোরকম অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে না আসে। মাছচাষ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে আমি অনুরোধ করব-সামান্য একটু মুনাফার লোভে নিজের ব্যবসাটাও যেমন নষ্ট করবেন না, তেমনি দেশের রফতানি বা পণ্যটাও আপনারা নষ্ট করবেন না। বর্তমানে দেশেও মাছের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে। আগে একজন রিকশাওয়ালা যেখানে শুধু চাল কিনতে সক্ষম ছিল, সে এখন একটু মাছও সঙ্গে কিনতে পারে। একজন দিনমজুরের সক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য চাহিদাও বাড়বে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা যত বাড়বে, আমাদের বাজারও ততটা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে গণভবনের লেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মাছের পোনা ছেড়ে মত্স্য সপ্তাহ উদযাপনের শুভ সূচনা করেন। তিনি পাট, চা, চামড়ার সঙ্গে মাছকেও বাংলাদেশের রফতানিপণ্য হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। মত্স্যসম্পদ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় প্রধান খাত হবে বলে জাতির পিতা আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। আজ দেশের ১ কোটি ৮২ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা মত্স্য সম্পদের সঙ্গে সম্পর্কিত। জিডিপিতে মত্স্যসম্পদের অবদান প্রায় চার শতাংশ। প্রাণিজ আমিষের ৬০ ভাগ জোগান দেয় মত্স্য খাত। জাতির পিতার সেই আশাবাদ এখন বাস্তবে পরিণত হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন জলমহাল নীতিমালা, মাছচাষিদের মাঝে মানসম্পন্ন রেণু সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য মত্স্য হ্যাচারি আইন ও মত্স্য হ্যাচারি বিধিমালা, গুণগত মানের মত্স্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য মত্স্য খাদ্য ও পশুখাদ্য আইন এবং মত্স্য খাদ্য বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে দেশি-বিদেশি ভোক্তাদের মানসম্পন্ন চিংড়ি সরবরাহ নিশ্চিতের লক্ষ্যে জাতীয় চিংড়ি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বিপন্নপ্রায় মত্স্য প্রজাতির সংরক্ষণ, প্রজনন ও বংশ বিস্তারের জন্য মুক্ত জলাশয়ে অভয়াশ্রম স্থাপন ও এর সংরক্ষণে দেশের মত্স্য খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই আরও তত্পর হবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী গণভবনের লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। মত্স্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী সায়েদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহমুদুল হাসান খান বক্তৃতা করেন।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT