সুরকার ও গীতিকার আলী আকবর রুপু মারা গেছেন।(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান 'ইত্যাদি'র সুবাদে তিনি অত্যন্ত পরিচিত ও জনপ্রিয়। 'ইত্যাদি'র জন্য অনেক গানের সুর ও সংগীত করেছেন তিনি। শুধু 'ইত্যাদি' নয়, দেশের অনেক খ্যাতিমান শিল্পী ও অনেক নবাগত শিল্পীর গান তিনি সুর করেছেন। ১৯৮০ সালে ‘একটি দুর্ঘটনা’ অ্যালবাম দিয়ে অডিও গানে তার অভিষেক ঘটে।বিক্রমপুর জন্ম নেওয়া এই মানুষটি ১৯৮৩ সালে 'উইন্ডস' নামক একটি ব্যান্ডের সাথে ছিলেন।
এ দেশের সংগীত জগতে অত্যন্ত সদালাপি, ভদ্র মানুষ হিসাবে তাঁর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।সেই মানুষটি গত সপ্তাহে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।গতকাল আইসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হলেও আবারো তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।তার আগে ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন।গত ৯ ফেব্রয়ারী রুটিনমাফিক ডায়ালাইসিস করার সময় হঠাৎ তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।কিডনি, স্ট্রোক এবং হার্টের সমস্যার কারণে তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর মাঝামাঝি অবস্থান করছিলেন।
১৯৮৪ সালে মালেক আফসারী পরিচালিত ‘রাস্তার ছেলে’ ছবিতে গান করেছেন স্বনামধন্য এ সুরকার। তবে সর্বমোট পাঁচ-থেকে ছয়টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি। আব্দুল্লাাহ আল মামুনের ‘দুই বেয়াইর কীর্তি’ তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র।তিনি উপহার দিয়েছেন বহু শ্রোতাপ্রিয় গান। তার করা উল্লেখযোগ্য গানের তালিকায় রয়েছে সাবিনা ইয়াসমিনের ‘প্রতিটি শিশুর মুখে হাসি’, এন্ড্রু কিশোরের ‘পদ্ম পাতার পানি নয়’, মুরাদের ‘আমি আগের ঠিকানায় আছি’ প্রভৃতি।