৮টি ওষুধ কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন), স্টেরয়েড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধের উৎপাদন ও বিপণন বন্ধের নির্দেশ বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন বিশেষজ্ঞসহ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করে এই ওষুধ কোম্পানিগুলোর মধ্যে যেসব কোম্পানি জিএমপি নীতিমালা অনুসরণ করছে তাদের লাইসেন্স দেওয়ার জন্য বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জারি করা রুল সোমবার যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
২৮টি ওষুধ কোম্পানি হলো- অ্যামিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লি., এজটেক ফার্মাসিউটিক্যালস লি., বেঙ্গল টেকনো ফার্মা লি., বেনহাম ফার্মাসিউটিক্যাল লি., সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ডিসেন্ট ফার্মা লি., ডা. টিমস ফার্মাসিউটিক্যালস লি., গ্লোবেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস লি., গ্রিনল্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ইনোভা ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ম্যাক্স ড্রাগস লি., ম্যাডিমেট ল্যাবোরেটরিজ লি., মডার্ন ফার্মাসিউটিক্যালস লি., মিসটিক ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিজ লি., অর্গানিক হেলথকেয়ার লি., ওয়েস্টার ফার্মা লি., প্রিমিয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি., প্রাইম ফার্মাসিউটিক্যালস লি., সীমা ফার্মাসিউটিক্যালস লি., হোয়াইট হর্স ফার্মাসিউটিক্যালস লি., মমতাজ ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ইউনিক ফার্মাসিউটিক্যালস লি., ইউনিাইটেড ক্যামিকেল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লি., এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লি., টেকনো ড্রাগস লি. ইউনিট-১, ইউনিট-২, ইউনিট-৩।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা ‘গুড মেনুফ্যাক্টরি প্র্যাকটিস (জিএমপি)’ অনুসরণ না করে ২৮টি কোম্পানি নিম্নমানের অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করছে। এতে জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে।”
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। এর পরের দিন গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই ২৮টি ওষুধ কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক স্টেরয়েড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধের উৎপাদন ও বিপণন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।