গত ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উত্তর কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন। জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক প্রধান জেফরী ফেল্টম্যানের মঙ্গলবারই (৫ ডিসেম্বর) পিয়ংইয়ং পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেপ্টেম্বরে 'নীতিনির্ধারণী' আলোচনার জন্য অনানুষ্ঠানিক ভাবে জাতিসংঘকে উত্তর কোরিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানায় দেশটি। তখন আমন্ত্রণ জানালেও সফরসূচী নিশ্চিত করা হয় ৩০ নভেম্বর। গত সপ্তাহেই এ যাবত কালের সবচেয়ে শক্তিশালী আন্ত মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে, উত্তর কোরিয়া বলেছে নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র পুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে দিতে সক্ষম। এমন প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনে বিরল এই সফরে যাচ্ছেন জাতিসংঘ কর্মকর্তা। সাবেক মার্কিন কূটনীতিক ফেল্টম্যান শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত পিয়ংইয়ং থাকবেন। এর আগে উত্তর কোরিয়ার হুমকির মুখে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় যৌথ বিমান মহড়া শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। উত্তরে কোরিয়া পাঁচদিন ব্যপী ঐ মহড়াকে উস্কানিমূলক বলে আখ্যা দিয়েছে। জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সফরে মি. ফেল্টম্যান উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তবে, দেশটির নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তার সাক্ষাত হবে না। সিউলে বিবিসি সংবাদদাতা পল অ্যাডামস জানিয়েছেন, অর্থবহ কোন কূটনৈতিক চ্যানেল অবশিষ্ট না থাকায়, এখন কোরিয়া সংকট নিরসনে আলোচনায় বসার যেকোন সুযোগ কাজে লাগাতে চায় জাতিসংঘ। এর আগে সর্বশেষ ২০১১ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের কর্মকর্তা ভ্যালেরি অ্যামোস উত্তর কোরিয়ায় গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর খুব দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখায় আন্তর্জাতিক মহল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এক জরুরী বৈঠক ডেকেছিল বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য। সেই সঙ্গে ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানসহ প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন রাষ্ট্র।