শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চার উপজেলায় ১৪৪ ধারা
প্রকাশ: ১১:০০ am ২৩-০৪-২০১৭ হালনাগাদ: ১২:৩৭ pm ২৩-০৪-২০১৭
 
 
 


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবাইদুল মুকতাদির চৌধুরীর দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চার উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। তবে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালের পিকেটিং করতে দেখা গেছে নেতা-কর্মীদের। 

বিজয়নগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আক্তারুন নেছা শিউলি, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঈন উদ্দিন ইকবাল এবং জেলা পুলিশের ডিআইওয়ান নবীর হোসের ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলাগুলো হলো- সরাইল, আশুগঞ্জ, সদর ও বিজয়নগর উপজেলা।

জেলা প্রশাসনের বরাত দিয়ে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঈন উদ্দিন ইকবাল জানান, চার উপজেলাজুড়েই ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।

এদিকে বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল এলাকায় ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালের পিকেটিং করতে দেখা গেছে নেতা-কর্মীদের। রাস্তার ওপর গাছ ফেলে সড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে তারা।

রোববার জেলার বিজয়নগরে প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল উদ্বোধন করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর আসার কথা রয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, বেলা ১১টায় মন্ত্রী নাসিরনগর থেকে রওনা দেবেন। এদিকে তার আগমনের প্রতিবাদে উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিজয়নগরে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তবে সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

বিজিবি ১২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলী জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করছে বিজিবি।

রোববার প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল উদ্বোধন করতে নাসিরনগরের সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক বিজয়নগর যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে সেই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ র আ ম উবাইদুল মুকতাদির চৌধুরীকে আমন্ত্রণ না জানানোয় সেখানে হরতালের ঘোষণা দেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ।

নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নাসিরনগরের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে মন্ত্রী ছায়েদুল হকের সঙ্গে সাংসদ (সদর-বিজয়নগর) র আ ম উবাইদুল মুকতাদির চৌধুরীর বিরোধ চাঙ্গা হয়। পরবর্তীতে জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধটি আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হেরে যায়। জেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ওই নেতারা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে কাজ করে তাকে জয়ী করে।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT