কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা আগ্রাহারা কারাগারে শশীকলার পাশের কক্ষেই রয়েছেন একজন ‘ক্রমিক খুনি’। ‘সায়ানাইড মল্লিকা’ নামে পরিচিত ওই নারী ছয়জনকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে আছেন।
এমন একজন কুখ্যাত খুনির পাশে থাকায় শশীকলার জীবন হুমকির মুখে আছে বলে অভিযোগ তোলা হয় তাঁর দলের পক্ষ থেকে। তাঁরা শশীকলাকে তামিলনাড়ুর কারাগারে পাঠানোর আরজি জানান। আর এরপরই ‘সায়ানাইড মল্লিকা’ নামের ওই বন্দীকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তাঁকে উত্তর কর্ণাটকের একটি কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিশেষ কিছু জানায়নি কারা কর্তৃপক্ষ। তারা শুধু জানায়, নিরাপত্তা ইস্যুতে তাঁকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের খবরে জানানো হয়, ‘সায়ানাইড মল্লিকা’ ২০০৮ সালে গ্রেপ্তার হন। ৫২ বছরের এই নারীর আসল নাম কে ডি কেমপাম্মা। এই নারী ‘সায়ানাইড কিলার’ নামে বেশি পরিচিত ছিলেন, মূলত তাঁর খুনের স্টাইলের জন্য। কর্ণাটকের এই বাসিন্দার লক্ষ থাকত মন্দিরে আসা ধনী নারী ভক্তদের ওপর। তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করতেন তিনি। এরপর মন্দিরে ঠাকুরের চরণামৃতের সঙ্গে সায়ানাইড মিশিয়ে খাইয়ে দিতেন। মারা যাওয়ার পর তাঁদের অলংকার আত্মসাৎ করতেন।
তবে কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, শশীকলার সঙ্গে খুবই ভালো আচরণ করছেন কেমপাম্মা। এমনকি তিনি খাবার নিতে শশীকলাকে লাইনে দাঁড়াতেও দিচ্ছেন না। তিনি নিজেই শশীকলার খাবার এনে দিচ্ছেন।
এক সূত্র থেকে জানা যায়, শশীকলাকে এই কারাগারে আনার পর কর্তৃপক্ষ কেমপাম্মাকে নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে আছে। আর তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কাকতালীয়ভাবে শশীকলার কারাগারে যে কক্ষে আছেন, সেই কক্ষের আরেকজন আসামি হলেন শুভা শংকর নারায়ণ। পেশায় আইনজীবী শুভা ২০০৩ সালে তাঁর সঙ্গীকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে আছেন।
হিসাববহির্ভূত সম্পত্তি রাখার মামলায় শশীকলাকে দোষী সাব্যস্ত করেন সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের রায়ে তাঁর চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার ছায়াসঙ্গী ছিলেন শশীকলা। জয়ললিতার মৃত্যুর পর শশীকলা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন।