বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে যে কয়েকটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন তাদের মধ্যে আশিকুল ইসলাম আশিকের পরিবার অন্যতম। দাদা ডাঃ নাসির উদ্দিন বৃহত্তর ময়মনসিংহের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন ছিলেন। বাবা, চাচা, খালত ভাই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। খালাতো ভাই কামাল মুক্তিযুদ্ধে শহীদও হয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার ব্রত নিয়ে আশিকুল ইসলাম আশিক ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। বর্তমানে ঢাকা মহানগর (উত্তর) যুবলীগের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন আহমেদ জজ ও বানেছা আহেমেদ দম্পত্তির ৬ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে সবার বড় আশিকুল ইসলাম আশিক। তৃণমূল আওয়ামী লীগের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় তরুণ এ নেতা ঢাকায় রাজনীতি করলেও নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রেখে চলেছেন। সবসময় চেষ্টা করেন এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে। গফরগাঁও উপজেলা ও পাগলা থানার কেউ অসুস্থ হয়ে ঢাকায় এসে যদি হাসপাতালে ভর্তি হন, নিজে গিয়ে অথবা লোক পাঠিয়ে যথাসাধ্য সাহায্য করেন আশিকুল ইসলাম।
আশিকুল ইসলাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তবে আওয়ামী লীগের সবাইকে এক মঞ্চে নিয়ে আনতে চাই। আমাকে নিয়ে কোনো গ্রুপিংও নেই এলাকাতে। আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলতে পারি, শেখ হাসিনা নৌকা দিলে দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে জিতে আসতে পারবো।
জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকতে দিবো না। এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করতে চান। মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং বন্ধ করে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যোগ্যতা অনুযায়ী বেকারদের তালিকা করে চাকরি দিতে চান। এক্ষেত্রে বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চল (ইপিজেড) প্রতিষ্ঠা করে কল কারখানা প্রতিষ্ঠায় মনোযোগ দিবেন।
শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক উন্নয়ন সাধন করার ইচ্ছা পোষণ করে আশিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকাতে মাত্র একটি সরকারি কলেজ রয়েছে। পাগলাতে নতুন করে একটি সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি একটি সরকারি হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চান।
গফরগাঁওয়ের মশাখালী রেলস্টেশনকে আন্তনগর ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করারও অঙ্গীকার করেন তিনি। এছাড়া ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর বেহাল অবস্থা, সেখানে ডেজিং করতে চান। উদ্বাস্তুদের ঘরবাড়ি বানিয়ে দিয়ে পুনর্বাসিত করার উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেন আশিকুল ইসলাম আশিক।
পাশাপাশি নিজের জন্মস্থান ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও পাগলার মানুষের জন্য ভালো কিছু করার তাগিদ থেকেই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিলে বৃহত্তর ময়মনসিংহে যত আসন রয়েছে সেখানে সবচে বেশি ভোটের ব্যবধানে এমনকি দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হতে পারবেন।
ছোটবেলা থেকেই মস্তিষ্কে বঙ্গবন্ধু ও তার আদর্শ প্রবেশ করেছিল যে দলের নেত্রীর প্রতিটি নির্দেশ পালনের জন্য দলের একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন নিরন্তর। রাজনীতি করতে গিয়ে ওয়ান ইলেভেন ছাড়াও বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে বহুবার কারাহন ভোগ করেছেন। হয়রানি ও নির্যাতনের শিকারও হয়েছেন। তবুও শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে সমুন্নত রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন আশিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রতক্ষ্যদর্শী ছিলাম। সেদিন নেত্রীকে বাঁচাতে দোকানের সাটার ভেঙে বের হয়ে এসেছিলাম কিন্তু পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল মেরে রক্তাক্ত করেছিল।