বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে চাঁদাবাজির এক মামলায় গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়ের বাসা থেকে মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর থানায় নিয়ে আসা হয় বলে ওই থানার এসআই বজলুর রহমান জানান।
মিরপুরের ওসি দাদন ফকির বলেন, দুলাল নামে ‘পরিবহন খাত সংশ্লিষ্ট একজন’ তিন দিন আগে খন্দকার মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
“দুলাল মামলায় দাবি করেছেন, মোজাম্মেল হক তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছেন, এর মধ্যে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন। ওই মামলাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
যাত্রী কল্যাণ সমিতির ফেইসবুক পাতায় এক পোস্টে বলা হয়, “হঠাৎ রাত ৩টায় মিরপুর মডেল থানা থেকে কিছু পুলিশ এসে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ। কী জন্য এখনো কোন বিষয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
পরিবহনে যাত্রীদের অধিকার এবং নিরাপত্তার সচেতনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করে এই সংগঠন। দুই ঈদে এবং বার্ষিক ভিত্তিতে সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান নিয়ে তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করতে দেখা যায়।
গত রোজার ঈদের পর সমিতির প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংগঠনটির বিরুদ্ধে ‘মনগড়া তথ্য’ প্রকাশের অভিযোগ আনেন এবং সমিতির মহাসচিবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
গত ৩১ আগস্ট রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন ২০১৮’ প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সেখানে মোজাম্মেল হক বলেন, “এবারের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঈদযাত্রা শুরুর পর থেকে ঈদ শেষে ঢাকা ফেরার পথে মোট ২৩৭টি দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ২৫৯ জনের।
সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু কমিয়ে আনতে ১০ দফা সুপারিশ করেন তিনি। গত ৪ বছর ধরে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সাতটি বিষয় পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতার আলোকে এ সুপারিশ করে সংগঠনটি।