আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে নিয়ে আসাই নির্বাচন কমিশনের প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও সচিবদের সঙ্গে সংলাপকালে এ কথা বলেন সিইসি।
এদিনের সংলাপে সাবেক সিইসি বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ ও এটিএম শামসুল হুদা, সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন, এম সাখাওয়াত হোসেন, মোহাম্মদ আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, মো. শাহনেওয়াজ, সাবেক ইসি সচিব ড. এএফএম মহিউর রহমান, সাবেক আইজিপি মোহম্মদ হাদীস উদ্দীন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুল করিম, সাবেক সচিব এএসএম ইয়াহিয়া চৌধুরী, মনজুর হোসেন, হুমায়ুন কবীরসহ সাবেক স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, স্থানীয় সরকার, পুলিশ ও মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা অংশ নেন।
সংলাপের শুরুতেই বর্তমান সিইসি কেএম নুরুল হুদা বলেন, এখানে যারা উপস্থিত আছেন, তারা প্রজাতন্ত্রের সেবক হিসেবে কাজ করেছেন, নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। গত তিন মাসে আমরা অনেক পরামর্শ, প্রস্তাব গ্রহণ করেছি। ভারী ভারী অনেক কথা শুনেছি। আজ আপনাদের পেয়ে বেশ হালকা অনুভব করছি।
সংলাপে সাবেক সিইসি বিচারপতি আবদুর রউফ বলেন, বর্তমান ইসির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরপেক্ষতার প্রমাণ করা। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষ লোকদের ভোটের কাজে নিয়োজিত করা দরকার। সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়।
আরেক সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা সংলাপে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে মানবসম্পদ উন্নয়নের পরামর্শ দেন।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন সংলাপকালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২২টি ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রস্তাব দেন।
নির্বাচন চলাকালে নির্বাচন কমিশনের অধীনে সেনাবাহিনী রাখার পক্ষে দেন এ সাবেক কমিশনার।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ভোটের আগে ও পরে মাঠে সেনা মোতায়েন রাখতে হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রেখেই।
যথা সম্ভব নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দেয়ার প্রস্তাব দেন সাবেক কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।