দেশে টেলিযোগাযোগ সেবা চতুর্থ প্রজন্মের (ফোর-জি) ইন্টারনেট চালুর তরঙ্গ নিলাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তত্ত্বাবধায়নে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকা ক্লাবে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
নিলামে অংশ নিতে আবেদন করেছে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক। রবি ও সিটিসেল নিলামে অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত অর্থ জমা দেয়নি। এদিকে সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আর সরকারি মালিকানাধীন টেলিটক আগ্রহ দেখায়নি।
বিটিআরসির সূত্র জানিয়েছে, ২১০০ মেগাহার্টজ, ১৮০০ মেগাহার্টজ এবং ৯০০ মেগাহার্টজের জন্য তরঙ্গ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। তরঙ্গ কেনার পরে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো সেবার মান বাড়াতে পারবে বলে মনে করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
৯০০, ১৮০০ ব্র্যান্ডের প্রতি মেগাহার্টজের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৩ কোটি মার্কিন ডলার আর ২১০০ ব্র্যান্ডের জন্য ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
প্রতিটি ব্র্যান্ডের অংশ নেওয়ার বিট আরনেস্ট মানি ১৫০ কোটি টাকা করে। ফোর-জি সেবা চালুর লাইন্সেসের জন্য গত জানুয়ারিতে ৫টি মোবাইল ফোন অপারেটর বিটিআরসির কাছে আবেদন করে।
তরঙ্গ নিলাম থেকে সরকার অন্তত ১১ হাজার কোটি টাকা আয় করতে চায়। বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, রবি অ্যাক্সিয়াটা ফোর-জি সেবা দিতে এরই মধ্যে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার জন্য বিটিআরসিতে আবেদন করেছে।
প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা পেলে ৩টি ব্যান্ডের তরঙ্গ নিয়েই টু-জি, থ্রি-জি ও ফোর-জি সেবা দিতে পারবে মোবাইল ফোন।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ফোর-জি ও থ্রি-জি মধ্যে গুণগত পার্থক্য ব্যাপক। যে গ্রাহক ফোর-জি সেবা নেওয়া শুরু করবে, সে আর থ্রি-জি তে ফিরে যেতে চাইবে না। ফোর-জি আসার পরে থ্রি-জি চেয়ে দ্রুত প্রসারিত হবে।
প্রসঙ্গত, উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা সম্বলিত মোবাইল ফোনের ফোর-জি তরঙ্গের নিলাম অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল হাইকোর্টের। গত ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করে দেয় আপিল বিভাগ। এর ফলে নিলাম অনুষ্ঠানে আইনি বাধা দূর হয়।