শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উৎসব আজ। শ্যামা পূজাকে কালী পূজা নামেও অভিহিত করা হয়।হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই ধর্মীয় উৎসব সাধারনত কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এ পূজা রাতে হয়।
দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মধ্য দিয়ে ভক্তের জীবনে কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে পৃথিবীতে আগমন ঘটে দেবী শ্যামার।
হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছে তাই শ্যামা দেবী শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামের প্রতীক। ভক্তদের কাছে কালী দেবী শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ অনেক নামেই পরিচিত।
কালী পুজার দিন হিন্দু সম্প্রদায় সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। এটিকে বলা হয় দীপাবলি। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামসহ শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে কেন্দ্রীয়ভাবে শ্যামাপূজা উদ্যাপিত হবে। সন্ধ্যায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় সহস্র প্রদীপ প্রজ্বলন করা হবে। রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রমে দেশবাসী এবং বিশ্ব মানবতার কল্যাণ কামনায় সন্ধ্যায় মন্দির প্রাঙ্গণে পাঁচ হাজার প্রদীপ প্রজ্বলন করা হবে। এ ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রাম কৃষ্ণ মিশন ও মঠ, সিদ্বেশ্বরী কালী মন্দির, সবুজবাগ থানাধীন শ্রী শ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক ৮৪নং বনগ্রাম রোডস্থ রাধাগোবিন্দ জিঁও ঠাকুর মন্দির, পোস্তাগোলা মহাশ্মশান, রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকেশ্বরী বাড়ী, সূত্রাপুরের বিহারীলাল জিঁও মন্দির, গৌতম মন্দির, রামসীতা মন্দির, ঠাটারী বাজারে শিব মন্দির, তাঁতী বাজার, শাখারী বাজার, বাংলা বাজারসহ বিভিন্ন মন্ডপ ও মন্দিরে শ্যামা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এবার রাজধানীতে পাঁচ শতাধিক মন্ডপে কালী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী গুরু সেবানন্দ বলেন, আজ রাত নয়টায় পূজা শুরু হবে। দিবাগত রাত তিনটায় পুষ্পাঞ্জলি হবে এবং পূজা শেষ হবে ভোর সাড়ে পাঁচটায়।