রাজধানীর মতিঝিল থেকে গ্রেফতার হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) দাওয়া শাখার চার সদস্য সিরিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। রবিবার সন্ধ্যায় তাদের মতিঝিলের পীর জঙ্গি মাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গ্রেফতার হওয়া আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা –
১। এবিএম সোহেল উদ দৌলা সোহেল
২। আহাদুল ইসলাম সাগর
৩। জগলুল হক মিঠু
৪। মোঃ তোয়াসিন রহমান।
এদের মধ্যে সোহেল আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং সংগঠনের সংগঠক। তাদের কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ, দুটি নোটবুক, দুটি মোবাইল ফোন, একটি পাসপোর্ট, কিছু জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা সিরিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাদের ভাষ্য মতে, যেখানে প্রকৃত জিহাদ চলে সেখানে যোগ দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল, সিরিয়ায় গিয়ে আল কায়েদার সহযোগী সংগঠন জামাত-আল-নুসরায় যোগ দেওয়া। এ জন্য তারা পাসপোর্টে অন্যান্য দেশের ভিসা লাগানোর চেষ্টা করছিল। ইতোমধ্যে তারা ভারত, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার ভিসার আবেদন করেছে। যাতে পর্যটক হিসেবে সিরিয়ায় যাওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছে, তারা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দাওয়া শাখার সদস্য এবং দেশে বিভিন্ন সময় ব্লগার হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। ২০১৪ সালে পলাতক জঙ্গি হাসান ওরফে রেজার মাধ্যমে তারা জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। তারা পরস্পরের সঙ্গে টেলিগ্রাম অ্যাপস এবং tutanota মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করতো।’
সিটিটিসির প্রধান বলেন, ‘গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে সোহেল মূলত সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এবং বাকি তিনজন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের সিরিয়ায় পাঠানোর ব্যবস্থা করছিল সোহেল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সোহেল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, বিদেশে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পলাতক নেতাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। এছাড়া এ গ্রুপের আরও কয়েকজন সদস্য আছে যারা পলাতক। তাদের সঙ্গে মেজর জিয়ার যোগাযোগ আছে।’