গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত । বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কূটক্তিমূলক বক্তব্য দেওয়ার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ ছামিদুল ইসলাম এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন । ইমরান সরকার ছাড়াও সনাতন উল্লাসের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়েছে । মামলার ধার্য তারিখে আসামিরা উপস্থিত না হওয়ায় কারণে আদালত তাদের বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করে। গত ৩১ মে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, গত ২৮ মে রাজধানীর শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য সরিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সমাবেশে ‘ছি. ছি. হাসিনা, লজ্জায় বাঁচি না’ শিরোনামে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মানহানিকর শ্লোগান তুলে, যা প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের জন্য মানহানিকর। ওই সমাবেশে ইমরান এইচ সরকার এবং সনাতন উল্লাস নেতৃত্ব দেন। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ২০১৩ সালে শাহবাগে গণজাগরণের আন্দোলনের সূচনায় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে এর আহ্বায়কের দায়িত্ব নেন ইমরান। শুরুতে ছাত্রলীগ এই মঞ্চের সঙ্গে থাকলেও পরে সরে যায়। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে গণজাগরণ মঞ্চের মশাল মিছিল থেকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে ওই শ্লোগান দেওয়া হয়েছিল। শ্লোগানের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।গত ২৯ মে রাতে ছাত্রলীগের মিছিল থেকে শাহবাগে ইমরান সরকারকে অবাঞ্ছিতও ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেখানে ইমরান এইচ সরকার ও সনাতনকে দেখা হবে, সেখানেই কুত্তার মতো পেটানো হবে।' পরে আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে এবং শাহবাগে হামলার শিকার হন ইমরান এইচ সরকার।