নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে ৬০ জনকে ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সচিব মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ। তিনি জানান, এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।
গত ১৬ জুলাই নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করে। এই কর্মপরিকল্পনায় সাতটি বড় বিষয়ের অন্যতম একটি হলো নির্বাচন কমিশনের সংলাপ।
সচিব মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আগামী ৩১ জুলাই বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। চিঠি অলরেডি (এরই মধ্যে) জারি হয়ে গেছে। এটি আজকে না হলে কালকে যাবে। দুদিনের মধ্যে সবার হাতে চিঠি পৌঁছে যাবে।’
সংলাপে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে কারা থাকছেন—জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, যাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, অর্থনীতিবিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, কলামিস্ট, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক ছাড়াও সিভিল সার্ভিসে যাঁরা দীর্ঘদিন মাঠপর্যায়ে কাজ করেছেন এমন সচিব বা রাষ্ট্রদূত, এই পর্যায়ের লোকজন রয়েছেন।
সংলাপের বিষয়বস্তু ঠিক করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘এটা এখনো ঠিক করা হয়নি। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করা। সেই আঙ্গিকেই যাঁরা সুশীল সমাজের সদস্য আছেন, তাঁদের আমরা সংলাপে আমন্ত্রণ জানাব।’
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের কোনো তারিখ ঠিক করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে সচিব বলেন, সুশীল সমাজ ছাড়া বাকিগুলোর তারিখ এখনো ঠিক করা হয়নি। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কবে সংলাপ করা হবে, আগামী সপ্তাহে হয়তো তার তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
ইসি এই সংলাপকে কতখানি গুরুত্ব দিচ্ছে, সে প্রসঙ্গে মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘সংলাপের জন্য সংলাপ হলে তো এটি করে লাভ নেই। আমরা প্রতিটি সংলাপের রেকর্ড নোট রাখব। সংলাপের পরে এই রেকর্ড নোটগুলো একত্র করে প্রতিবেদন হবে। প্রতিবেদনে যে সুপারিশগুলো গ্রহণ করার মতো, সে অনুসারে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’