মাধ্যমিক স্তরের নবম-দশম শ্রেণির ১১টি পাঠবই পরিমার্জন করে প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত করে ছয়টি বই শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বিজ্ঞানের ছয়টি বই শিক্ষামন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বইগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এদিকে পরিমার্জিত বই হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) উঠিয়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, এমসিকিউটা বোধহয় পরিপূর্ণভাবে উঠিয়ে দেওয়া উচিত, এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। আমরা নিশ্চয়ই আগামীতে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বসব। এমসিকিউ প্রশ্ন তুলে দেওয়ার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের কনভিন্স করে ওই কক্ষের পরীক্ষার্থীরা যেন ৩০ নম্বর পায় সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। একজনকে বলে দিচ্ছে সে আবার পাস করে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘এমসিকিউ’র আরেকটা ধ্বংস হচ্ছে যে ভুল উত্তর দেওয়া। এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে, সব সাবজেক্টে যে আশির ওপরে পেয়েছে, কিন্তু একটা সাবজেক্টে দেখা গেছে মূল প্রশ্নে ঠিকমতো নম্বর পেলেও এমসিকিউতে সাত পেয়েছে, আট পেয়েছে যেখানে ১০ পাওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। রাজধানীর রাজউক কলেজে লিখিত ও এমসিকিউয়ের নম্বরে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান সচিব। জানা গেছে, এবার থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশ থেকে ১০ নম্বর কমিয়ে তা সৃজনশীল অংশে যোগ করা হয়েছে। ফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা শুরুর পর প্রথমেই নেওয়া হচ্ছে এমসিকিউ অংশের পরীক্ষা। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষার হলে তাত্ক্ষণিকভাবে প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না-সে বিষয়ে ভাবা হচ্ছে বলেও জানান সোহরাব হোসাইন। শিক্ষা আইনের খসড়া শিগগিরই মন্ত্রিসভায় তোলা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রায় ছয় বছর ধরে শিক্ষা আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। যে আইনের অভাবে আমরা অনেক কিছু করতে পারি না, সেটি বোধহয় এ সপ্তাহে মন্ত্রিসভায় তোলার জন্য মোটামুটি প্রস্তুত হয়ে গেছে।